করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (৯ জুন) ভোর রাত ১টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নৈকাটি গ্রামের মৃত কাঁলাচান শেখের ছেলে আব্দুস সামাদ শেখ (৫৫), একই উপজেলার রমজাননগর গ্রামের মৃত মাজেদ বক্সের ছেলে এলেন বক্স (৮০), সদর উপজেলার আখড়াখোলা গ্রামের মৃত বাকের আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৫০) ও শহরের রাজারবাগান এলাকার মৃত পুনাই মিস্ত্রীর ছেলে নাসির আলী মিস্ত্রী (৭০)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার নৈকাটি গ্রামের আব্দুস সামাদ শেখ জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৩১ মে রাত ১টার দিকে সামেক হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামের এলেন বক্স গত ৬ জুন বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৮ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে সদর উপজেলার আখড়াখোলা গ্রামের মিজানুর রহমান গত ৩ জুন রাত ৮টার দিকে সামেক হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
এছাড়া একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে গত ৭ জুন রাত ১১টা ২০ মিনিটে সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকার নাসির আলী মিস্ত্রী সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তিনি চিকিৎসাধীন বুধবার (৯ জুন) ভোর রাত ১ টার দিকে মারা যান।
এনিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৩৬ জন ব্যক্তি। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অর্ধ শতাধিক।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কুদরত-ই-খোদা এসব মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃত চারজনেরই করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থতার কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফনের জন্য বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম