খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাতক্ষীরায় আমন বীজ সংরক্ষণ এবং সরিষা ও মসুরের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় আমন ধান কর্তন পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থাপনা বীজ সংরক্ষণ এবং সরিষা ও মসুরের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিনেরপোতা’র বিনা উপকেন্দ্র’র ট্রেনিং হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা এই প্রশিক্ষনের আয়োজন করে।

বিনা উপকেন্দ্র’র উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরা’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ময়মনসিংহ’র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিনা, ময়মনসিংহ মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় প্রধান ড. মো. মুন্জুরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা’র উপপরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম, বিনা ময়মনসিং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এআরই বিভাগ ও সহযোগী প্রধান গবেষক পিবিআরজি-০৯৮ উপ-প্রকল্প’র মোঃ আল-আরাফাত তপু, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও রিপন হোসেন, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা’র ফার্ম ম্যানেজার মোঃ ফররুখ আহম্মেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, বিনা উদ্ভাবিত লবণসহনশীল ধানের জাত অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট লবণাক্ত এলাকায় লবণ পানি প্রবেশ করে যার মাত্রা ১০/১২ ডিএস/মিটার। সাতক্ষীরায় আম্ফানের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করায় অনেক আবাদী জমি অনাবাদী হয়ে পড়েছে উলে­খ করে তিনি উপস্থিত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ সমস্ত এলাকায় লবণসহনশীল জাতের ধানের জাত সম্প্রসারণ করতে হবে।

প্রধান অতিথি ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম আরো বলেন, সাতক্ষীরা জেলার নারী কৃষাণীরা পুরুষের পাশা পাশি অনেক বেশি উদ্যোগী। আমনধানের আগামজাত কেটে তারা খুব সহজে সরিষা, আলু, সবজি ও গম লাগাতে পারেন। বিনাধান- ১৭ এর ফলন অনেক বেশি। বিঘা প্রতি ২৫ মণের বেশি ফলন পাচ্ছে কৃষক। এছাড়া বিনাধান ১৬ সবচেয়ে আগাম জাত এবং এর জীবনকাল মাত্র ১০০ দিন। মাননীয় কৃষি মন্ত্র বিনাধান-১৬ এর প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। যেখানে এক থেকে তিন ফসলী জমি সেখানে বিনাধান- ১৬ চাষাবাদের সুবিধা অনেক বেশি। তবে জোয়ারভাটা অঞ্চলে বিনাধান- ২৩ চাষাবাদ করা যাবে বলে তিনি জানান।

আমন ধান কর্তন পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থাপনা বীজ সংরক্ষণ এবং সরিষা ও মসুরের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণে ৫০জন কৃষক-কৃষাণী, ৫ জন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা, অতিথি ২ জন ও রিসোর্স পারসন ৬ জনসহ মোট ৬৩ জন অংশ নেয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম রেজা।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!