সাতক্ষীরায় অপহরণের ১৮দিন পর অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে আশাশুনি থানা পুলিশ। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে যশোর জেলার ঝিকরগাছার থানার গদখালী গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারির নাম মোঃ আল মামুন হোসেন ওরফে নয়ন (২৩)। সে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে সুরোত সরদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রেজাউল সরদারের মেয়ে আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামে নানার বাড়ি থেকে স্কুলে লেখাপড়া করতো। স্কুলে যাতায়াতের পথে আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে সুরোত সরদারের ছেলে আল মামুন হোসেন নয়ন এর কু নজরে পড়ে ওই স্কুল ছাত্রীর উপর। স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায় সে ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করতে থাকে। কিছুদিন পর প্রেমের প্রস্তাব দিলে ওই স্কুল ছাত্রী তা প্রত্যাখ্যান করায় নয়ন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অপহরণ করার জন্য বিভিন্ন চক্রান্ত ও পরিকল্পনা করতে থাকে। এক পর্যায়ে নয়ন সুযোগ বুঝে স্কুলে যাওয়ার পথে গত ১৯ আগষ্ট ওই ছাত্রীকে অপরণ করে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ২০(৮)২২ নং মামলা দায়ের করেন।
থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার ও অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে পুলিশের কাছে খবর আসে যশোর জেলার ঝিকরগাছার থানার গদখালী গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে অপহরণকারী নয়ন আত্মগোপনে রয়েছে। এই খবরের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশাশুনি থানার এসআই ইমরান হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের সহায়তা রবিবার রাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে নয়নকে গ্রেপ্তার ও অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মমিনুল ইসলাম (পিপিএম) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত অপরহরণকারিকে আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।