সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় আশাশুনি ও পৌরসভার রইচপুর এলাকায় পুকুরের পানি ডুবে তিন কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া ও সাতক্ষীরা পৌরসভা রইচপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশু তিনটি হলো সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের আলম হাওলাদারের মেয়ে আনিকা সুলতানা (৪) এবং একই গ্রামের অহিদুল ইসলাম মোড়লের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৫) এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার রইচপুর গ্রামের মোঃ শাহীন হোসেন এর মেয়ে সুহানা সুলতানা (৮)।
শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস এর বাবা অহিদুল ইসলাম মোড়ল জানান, সকালে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে তার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ও প্রতিবেশীর মেয়ে আনিকা সুলতানা খেলা করছিল। এসময় সবার অগোচরে তারা পুকুরের পানিতে পড়ে যায়।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাশের বাড়ির ওহিদ নামের একটি ছেলে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে একটি শিশুকে পানিতে ভাসতে দেখে আমাদেরকে ডাক দেয়। আমি দৌড়ে গিয়ে পুকুরে নেমে আনিকাকে পানি থেকে তুলে আনি।
এরপর আমার মেয়েকে খুজতে নেমে সিড়িতে ডুবে থাকা অবস্থায় পায়ে তার স্পর্শ অনুভব হলে আমি জান্নাতুলকে তুলে আনি।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে দু’জনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃতু ঘোষণা করেন।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজিৎ অধিকারী ঘটনা শুনেছেন বলে জানান।
এদিকে সাতক্ষীরা পৌরসভা, রইচপুর এলাকার শাহিনুর হোসেনের মেয়ে সুহানা সুলতানা একই গ্রামের জনৈক নুর ইসলামের পুকুর পাড়ে খেলা করছিল। পরিবারের সবাই কাজে ব্যস্ত থাকার এক পর্যায়ে সুহানা পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি একপর্যায়ে বেলা বারোটার দিকে গ্রামবাসীরা নুর ইসলামের পুকুর থেকে সুহানার মরদেহ উদ্ধার করে।
সুহানার বাবা মোঃ শাহিন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
খুলনা গেজেট/কেডি