জামায়াত নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরি মঞ্জুরুল কবির ও সাবেক এএসপি (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৩৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা আমলী ১নং আদালতে নিহত জামায়াত নেতার পিতা আকবর আলী বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসাবে গণ্য করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক, এসআই হেকমত আলী, এসআই শরিফ মিয়াজী, কুচপুকুর গ্রামের মৃত নেছার আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম, মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে রনি ও জনি, মৃত কালু কাহারের ছেলে নাজের আলী, কওছার আলীর ছেলে শিমুল ও শাহিন, কওছারের স্ত্রী রাশিদা বেগম, মৃত আফতাব আলীর ছেলে কওছার আলী, ইসমাইল সরদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম, রবিউল ইসলামের ছেলে সবুজ, নাজের আলীর ছেলে রাজু ও হামজার আলী, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আনারুল ইসলাম, মৃত নুরালী মোড়লের ছেলে রবিউল ইসলাম, অজিহার মল্লিকের ছেলে মাজারুল ইসলাম বাবু ও মামুন বাবুল, মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে আব্দুল গফফার, হাফিজুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান, নূরুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসেন, বকচরা গ্রামের দলিলুদ্দীন সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান, বলাডাঙ্গা গ্রামের ছেয়ামুদ্দীন সানার ছেলে সুমন মেম্বর, ঘোনা গ্রামের ফেরাজতুল্লাহ গাজীর ছেলে মোশারফ চেয়ারম্যান, কামার বায়সা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেল, দেবনগর গ্রামের মৃত নেছার আলীর ছেলে মুনছুর আলী, ইটাগাছা গ্রামের মৃত আকরাম মোড়লের ছেলে আবুল কালাম, মাহমুদপুর গ্রামের আকরামের ছেলে কামরুল ইসলাম, কলারোয়ার বহুড়া গ্রামের অজিয়ার রহমানের ছেলে আমিরুল ইসলাম, কাশেমপুর গ্রামের নজরুল গাজীর ছেলে আলাউদ্দিন, সিদ্দিক দালালের ছেলে ইমরান হোসেন সোহাগ, লিয়াকাত কাহারের ছেলে সেলিম কাহার এবং বাকসা গ্রামের হাকিম ডাক্তারের ছেলে আলমগীর কবির।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরি মঞ্জুরুল কবিরের নির্দেশে জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান হবিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অন্যান্য আসামীরা। পরের সকালে কদমতলা বাজারের একটি পুকুরের পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। তার বুকে এবং মাথায় একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। কতিপয় ব্যক্তি দ্রুত লাশটি দাফন করার জন্য তার পিতাকে চাপপ্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তার পিতা দ্রুত দাফন সম্পন্ন করেন। এর আগে হবির বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর লুটপাট করে। বাড়িতে থাকা ৪লক্ষ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা।
সে সময় অনুকুল পরিবেশ না থাকায় মামলা করতে সাহস পায়নি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় নিহতের পিতা আকবর আলী বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা দায়ে করেছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে