‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর হার কমান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১১ ডিসেম্বর থেকে দেবহাটাতে শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
ইউএইচএফপিও ডা. আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ আহমেদ, সহকারী পরিবার পরিকল্পনা অফিসার কামাল হোসেন প্রমুখ। ইপিআই পরিদর্শক মোঃ সালাহউদ্দীনের সঞ্চালনায় এসময় ওয়ার্ল্ড ভিশনের অনিন্দিতা বিশ্বাসসহ বিভিন্ন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, এরআগে একটি নির্দিষ্ট দিনে দেশব্যাপী এ ক্যাম্পেইনটি অনুষ্ঠিত হলেও, মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারনে এবছর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিকসহ নির্ধারিত স্থান সমূহে পরপর চারদিন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬-১১মাস এবং ১২-৫৯মাস পর্যন্ত বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরপরও যদি কোন শিশু এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ পড়ে যায়, তাহলে ক্যাম্পেইন শেষ হলেও নিকটস্থ সরকারী হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সেসব শিশুদের এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন তাদের অভিভাবকরা।
সভায় আরো জানানো হয়, এবার দেবহাটা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে স্বাভাবিক ও প্রতিবন্ধীসহ ৬-১১ মাস বয়সের ১,৯৩২জন এবং ১২-৫৯মাস বয়সের ১৩,৮৯৫জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নিয়ে ক্যাম্পেইনটি শুরু করতে যাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি ছিন্নমুল জনগোষ্ঠীর অর্ন্তভূক্ত বেদে সম্প্রদায় এবং বিশেষ করে ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের শিশুদের জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় আনতেও তৎপর রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রত্যেক শিশুকে ক্যাম্পেইন চলাকালীন ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বানও জানানো হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এএ