সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সাতক্ষীরার যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্র পক্ষের দাখিলকৃত এক দরখাস্তের শুনানী শেষে ওই আদেশ দেন।
শ্যামনগর উপজেলার জয়াখালী গ্রামের শেখ আবু দাউদের ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম ৬টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা এবং পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে অবাধ চলাচলের কারনে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামী শেখ আব্দুর রহিমের মুক্তভাবে চলাফেরা করায় বিচার ব্যবস্থা ও পুলিশের প্রতি মানুষের মনে বিরূপ ধারণার সৃষ্ঠি হচ্ছে বলে বিচারক তাঁর আদেশে উল্লেখ করেছেন।
আদালতের দেয়া আদেশ থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরার যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতের সিআর ১৮৪/১৯ নম্বর মামলা হতে উদ্ভুত সেশন ১১৬১/২০ নম্বর চেক জালিয়াতির একটি মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্র পক্ষ হতে আদালতে আবেদন করা হয়। দাখিলকৃত আবেদনে ওই মামলার আসামী শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়াখালী গ্রামের শেখ আবু দাউদ’র ছেলে শেখ আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এছাড়া আদালতে শুনানীকালে রাষ্ট্রপক্ষ হতে বলা হয়, আসামী শেখ আব্দুর রহিম ওই আদালতের সেশন ১১৬১/২০, ১১৬২/২০, ১১৬৩/২০, ১১৬৪/২০, ৩৭৪/২০ ও ১৮৭৮/২০ নম্বর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবং অত্র আদালত হতে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ইস্যু করা হলেও অজ্ঞাত কারনে আদ্যবধী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং আসামী ইউপি চেয়ারম্যান এবং চলমান ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন মর্মে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এছাড়াও আসামী এস, সি ১১৬১/২০ নম্বর মামলার বাদীকে জীবননাশের হুমকীসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকী দিচ্ছেন। ফলে সাধারণ মানুষের মনে বিচার ব্যবস্থা ও পুলিশের প্রতি বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। আদালত আবেদনটি শুনানী শেষে আসামী শেখ আব্দুর রহিমকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরাকে নির্দেশ দেন এবং আদালতের আদেশের অনুলিপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইজিপি ঢাকা, ডিআইজি খুলনা, পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শ্যামনগরকে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেখ আব্দুর রহিম এর ব্যবহৃত ০১৭১৫৬৬০২১৩ নম্বরের মোবইল ফোনে বার বার রিং করা তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, আমরা শেখ আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
খুলনা গেজেট/এএ