চলতি আমন মৌসুমে সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ, গাবুরা, ঈশ্বরীপুর ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৭৮৬ জন কৃষকের মাঝে ৭ হাজার ৪৯৫ কেজি লবণ ও খরা সহনশীল ধানবীজ বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় সোমবার (৪ জুলাই) সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জস্থ লিডার্স এর প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই ধানবীজ বিতরণ করা হয়।
লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল এর সভাপতিত্বে ধান বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বীজ বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস. এম এনামূল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন, লিডার্স এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ ইকবাল ফারুক প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লিডার্স এর মনিটরিং অফিসার রনজীৎ কুমার মন্ডল।
প্রধান অতিথি বলেন, ভালো মানের ধান বীজ পাওয়া অনেক দূর্লভ। আমরা যদি নিজেরা বাড়িতে বীজ সংরক্ষণ করি তাহলে বীজের সংকট কমবে। আমরা সকলেই লবণ ও খরা সহনশীল ধান চাষ করলে কৃষি ক্ষেত্র আরো সমৃদ্ধ হবে। আশা করি লিডার্স এমন কৃষকদের খুঁজে বের করবে। এতে করে লিডার্স এর এধরণের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হবে। ব্যক্তি বা সংগঠন পর্যায়ের এমন উদ্যোগের ফলে সরকারের কৃষি বিভাগের পাশাপাশি লিডার্স এর মত বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠনগুলোর মাধ্যমে কৃষকদের কৃষিতে সম্পৃক্তকরণ আরও বাড়বে।
প্রসঙ্গতঃ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হিসাবে উপকূলীয় এলাকায় লবনাক্ততা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারনে সেচের পানির স্বল্পতা রয়েছে। এমন বহুবিধ সংকটের মধ্যে কৃষিকে টেকসই করার লক্ষ্যে লিডার্স লবণ ও খরা সহনশীল ধানবীজে ভর্তুকি প্রদান করে কৃষকদের লবণ ও খরা সহনশীল ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এসব ধান বীজের মধ্যে রয়েছে বিআর-২৩, ব্রিধান-৫২, ব্রিধান-৬৭, ব্রিধান-৭৩, ব্রিধান-৭৮ ও ব্রিধান-৮৭।
উল্লেখ্য যে, লিডার্স চলতি আমন মৌসুমে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি ও খুলনার কয়রা উপজেলায় মোট ১০৫৫ জন কৃষককে ৯ হাজার ৭৫০ কেজি লবণ ও খরা সহনশীল ধান বীজ বিতরণ করবে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ