সাতক্ষীরায় সরকারি খাস জমি দখল মুক্ত করণে টাস্কফোর্সের এক জরুরী সভা বুধবার (৯ এপ্রিল) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের লেঃ লাবিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, আরডিসি মোঃ পলাশ আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিশ কুমার সরকার, সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ, পানিউন্নয়ন বোর্ড বিভাগ -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দীন আহেমদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রেকৌশলী কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারী অফিসের কর্মকর্তারা।
সভায় জেলার যে সকল জায়গায় খাসজমি অবৈধভাবে ভুমিদস্যুদের দখলে রয়েছে সেগুলো সব উদ্ধারে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় সাতক্ষীরার আলিপুরে প্রায় ৩০ বিঘা সরকারি খাস জমি উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
সভায় আরো জানানো হয়, জেলার বিভিন্ন স্থানে যে সমস্ত সরকারি খাস জমি রয়েছে যে গুলো ভুমিদস্যুরা অবৈধভাবে দখলে রেখেছে সেগুলো উদ্ধারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ইতিমধ্যে খাসজমি উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে। একই সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সড়ক ও জনপদের আওতাধীন জেলার বিভিন্ন স্থানে যে সমস্ত সরকারী খাস জমি অবৈধভাবে দখলে রয়েছে সেগুলো স্ব স্ব বিভাগকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হবে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, ইতিমধ্যে গত দুই দিনে সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের আব্দুস সবুর ও তার ভাই আব্দুর রউফের দখলে থাকা প্রায় ৩০ বিঘা (৯.৬৮ একর) সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যা সড়ক ও জনপদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা। এসব খাসজমিতে অবৈধভাবে ভরাট করে ট্রাক টার্মিনালসহ স্থাপনা ও জল মহল করেছিল। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় অবৈধ স্থাপনা গুলো ইতিমধ্যে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি এসময় বলেন, সাতক্ষীরার এক খন্ড সরকারী জমি যাতে কোন ভুমি দস্যু ও জবরদখলকারীর হাতে না থাকে সে লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।