নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাতক্ষীরা পৌরসভার কামালনগর মালেকপাড়ায় ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প পরিচালিত হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক), সাতক্ষীরা এসডি হসপিটাল এবং মিডিয়া পার্টনার খবরের কাগজ যৌথভাবে এই মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে।
ক্যাম্পে সাতক্ষীরা এসডি হাসপাতালের আরএমও ডা. প্রদীপন কুমার চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। এই স্বাস্থ্য ক্যাম্পে নারী-শিশুসহ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টি পরামর্শ দেওয়া হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের নানাবিধ অভিঘাতে এই নিম্ন আয়ের বস্তিবাসী গ্রাম থেকে সবকিছু হারিয়ে শহরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। শহরে এসেও তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নগরের নানা সংকটের মধ্যে তাপপ্রবাহ বস্তিবাসী মানুষের জীবন এবং জীবিকাতে ভীষণভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। একই সঙ্গে এই তাপপ্রবাহের কারণে তারা নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা দরিদ্র থেকে দারিদ্র্যের প্রান্তসীমায় পৌঁছে যাচ্ছেন।
এই স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প কিছুটা হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ক্যাম্প পরিচালনায় সহায়তা করেন বারসিকের প্রোগ্রাম অফিসার গাজী মাহিদা মিজান, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম, এসডি হাসপাতালের মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট মুজাহিদুল ইসলাম, খবরের কাগজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি নাজমুল শাহাদাত জাকির, বন্ধুজন সাতক্ষীরার সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আন্নিষা, সদস্য সোনামণি আক্তার বৃষ্টি, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সভাপতি আব্দুর রহমান নীরব, সদস্য মোনাইমু, সিফাত হোসেন, ফরিদ গাজী প্রমুখ।
বারসিকের প্রোগ্রাম অফিসার গাজী মাহিদা মিজান বলেন, জনসংখ্যা বিবেচনায় আমাদের দেশে চিকিৎসা সেবা খুবই অপ্রতুল। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা নিশ্চিতে এই স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা বন্ধুজনের সদস্য সোনামণি আক্তার বৃষ্টি বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রের চিকিৎসাব্যবস্থা একদিকে যেমন সীমিত, অন্যদিকে পরিবেশদূষণ এখানকার শিশুদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এই আয়োজন তাদের জন্য কিছুটা হলেও উপকার করবে।
বিউটি খাতুন নামে একজন নারী চিকিৎসাসেবা পেয়ে বলেন, আমাদের পাড়ার অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। তারা ঠিকমত ডাক্তার দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে মহিলারা রোগাক্রান্ত হলেও অর্থাভাবে ডাক্তার দেখান না। তাই এ ধরনের ক্যাম্প আমাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে।
খুলনা গেজেট/এএজে