খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
  নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদী থেকে দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

সাতক্ষীরায় দুই পত্রিকা সম্পাদকসহ চারজনের নামে চাঁজাবাজির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এক শ্রমিক নেতাকে মারপিট করে ৬০ হাজার টাকা আদায় এর অভিযোগে সাতক্ষীরার দুই পত্রিকা সম্পাদক ও একজন সাংবাদিকসহ চারজনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরের জহুর আলী সরদারের ছেলে নারিকেলতলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল সরদার বাদি হয়ে বৃহষ্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরের মৃত কোমরউদ্দিনের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ, আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের মহাজনপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে দনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলার তুজুলপুরের ইসহাক মোড়লের ছেলে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সমাজের আলো ডট কম এর সম্পাদক মোঃ ইয়ারব হোসেন ও ঢাকার লালমাটিয়া এলাকার আমীর হোসেনের ছেলে খোরশেদ আলম।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উচ্চ পর্যায়ের নেতা হওয়ায় আসামীরা বিভিন্ন সময়ে বাদির নিকট চাঁদা দাবি করিয়া আসছিলো। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদিকে ভিটাছাড়া করাসহ খুন ও জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলো আসামীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা আবু আহম্মেদ এর নেতৃত্বে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান, ইয়ারব হোসেন ও ঢাকার খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন একটি সাদা রং এর মাইক্রোবাসে করে বাদির বাড়িতে আসে। তারা বাদির কাছে পাঁচ লাখ টাকা চায়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদিকে মারপিট করে তার ঘরে ঢুকে আলমারি থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তারা বাকি চার লাখ ৪০ হাজার টাকা নিতে বাদিকে মাইক্রোবাসে তুলে দু’চোখ বেঁধে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরায়। পরে তাকে মেডিকেল কলেজ থেকে ছয়ঘরিয়া মোড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়। অনুকুল পরিস্থিতি না থাকায় তখন মামলা করা সম্ভব না হলেও পরিস্থিতি অনুকুলে আসায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ বলেন, মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা সকলেই ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট কলারোয়ার শেখ হাসিনার গাড়ি বহর হামলার সাক্ষী। পরিকল্পিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ মামলার প্রধান সাক্ষী শহরের মধুমোল্লারডাঙির দলিল লেখক সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান (নিশান) বলেন, তিনি মামলা ও তাকে সাক্ষী করার বিষয়টি জানেন না বা তাকে কেউ জানায়নি।

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেনকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!