খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্র দেশে ব্যবসায় পরিবেশ নিশ্চিতের অন্যতম বাধা : সিপিডি
  সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও তার স্বামীর পাসপোর্টের আবেদন স্থগিত

সাতক্ষীরায় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা, স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক,সাতক্ষীরা

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সড়কে বিশৃঙ্খলা রোধে সাতক্ষীরায় ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রন ও পরিষ্কার পরিচ্ছনতার কাজ করছে সাতক্ষীরার কোটা সংস্কার আন্দলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে শহরের যান চলাচলে অনেকটাই গতি ফিরেছে। একই সঙ্গে সড়কে সেই চিরচেনা যানজট না থাকায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে মানুষের জীবন যাত্রা।

বুধবার (৭ আগষ্ট) সকালে শহরের খুলনা রোড মোড়, নিউমার্কেট মোড়, পাকাপোল মোড়, জজকোর্ট মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, এসপি বাংলো মোড়, বড় বাজার সড়কসহ কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়কের যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ করছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শহরে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে না থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছিল, একারণে তারা গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে। কোটা আন্দোলনের সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে পৌরসভার ময়লার স্তুপে রাখা হয়। এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

এদিকে দেশে চলমান সহিংসতা রোধে জনগনকে শান্ত ও ধৈর্য্য ধারনের জন্য সেনাবাহির পাশাপাশি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে সড়ক-মহাসড়কে দিন-রাত মাইকিং করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সোমবার (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এই খবর প্রচার হলে সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও সহিংসতায় আওয়ামী লীগের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ-বিএনপির ১৪ জন নিহত হন। এছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা সদর থানা, ট্রাফিক কার্যালয়, কলারোয়া ও শ্যামনগর থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় থানা গুলোয় বর্তমানে কোন পুলিশ সদস্য নেই। সেখানে বর্তমানে আনসার সদস্যরা দায়ীত্ব পালন করছেন।

খুলনা গেজেট/এএজে

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!