সাতক্ষীরা সদরের মৃগিডাঙা গ্রামের জামায়াত কর্মী জাহিদ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার নিহতের পিতা রুস্তুম আলী বাদি হয়ে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি তদন্তপূর্বক এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, মৃগিডাঙা গ্রামের তোফাজ্জেল হক সরদারের ছেলে হযরত মোস্তফা ওরফে মেঝে, একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোকলেছুর রহমান, আয়ুব আলী সরদারের ছেলে আলী হোসেন, শহ আলী মোল্লার ছেলে আব্দুর রশীদ, জনাব আলী গাজীর ছেলে নুরুল আমিন ফনু, তোফাজ্জেল সরদারের ছেলে আবু মোস্তফা ওরফে রুকু, নবার আলীর ছেলে হাসিবুল হোসেন ওরফে শহীদ, গোপাল বৈদ্যের ছেলে নাজিমউদ্দিন ও ঘোনা গ্রামের জবেদ অলীর ছেলে সুমন হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকা আসামীরা বেপরোয়া হয়ে জামায়াত শিবিরের লোকজনদের খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে তারা বাদির বাড়িতে ঢুকে তার ছেলে জাহিদকে দেখতে পায়। আসামী হযরত মোস্তফা তার সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের হুমকি দিয়ে বলে যে জাহিদকে খুন করে ফেল। একপর্য়ায়ে বাদির বাড়ির সামনে জাহিদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে ফারুক হোসেন সান্টু ও আশরাফুলকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাহিদ, ফারুক ও আশরাফুলকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় জাহিদকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জাহিদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ার কথা বলায় তাকে আবারো সাতক্ষীরা সদর হাপসাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরদিন বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহিদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ফারুক হোসেন সেন্টু বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৩১ আগষ্ট থানায় গেলে থানার স্বাভাবিক কাজকর্ম না চলায় মামলা নেয়নি পুলিশ।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী(বাদীপক্ষ) অ্যাড. মাহামুদুল হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি