সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে কার্বাইড মিশ্রিত অপরিপক্ক ৯শ’ কেজি গোবিন্দভোগ আম জেলার বাইরে নেয়ার পথে আটক করে সদর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে শহরের অদূরে বাঁকাল স্কুল মোড় এলাকা থেকে এসব আম আটক করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ একজন অসাধু আম ব্যবসায়ীকে আটক করে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আম ব্যবসায়ীর নাম মো. আব্দুল্লাহ গাজী (৪৫)। তিনি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার গরাণবাড়িয়া গ্রামের আহমাদ আলী গাজীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, পরিবহনের বাসে করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে কেমিক্যাল মিশ্রিত বিপুল পরিমাণ অপরিপক্ক গোবিন্দভোগ আম জেলার বাইরে নেয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের একটি দল শহরের অদূরে বাঁকাল স্কুল মোড় এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সাতক্ষীরা গামী দুটি বাস থামিয়ে তল্লাশি করে ৪৫টি ক্যারেটে ভর্তি প্রায় ৯শ’ কেজি গোবিন্দভোগ আম আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় আমের মালিক আব্দুল্লাহ গাজীকে আটক করা হয়।
পরে রাতে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকারের উপস্থিতিতে পৌরসভার রোলার দিয়ে জনসম্মুখে আমগুলো ধ্বংস করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, আটককৃত আমগুলোতে কেমিক্যাল মেশানো হয়েছিল এবং সেগুলো শ্যামনগর থেকে বগুড়া ও রংপুরে পাঠানো হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে একটি ‘আম ক্যালেন্ডার’ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে যাতে নির্দিষ্ট সময়ের আগে কেউ আম বাজারজাত করতে না পারে। প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতীশ সরকার বলেন, শ্যামনগর থেকে দুটি বাসে করে আমগুলো রংপুরে নেওয়া হচ্ছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি স্প্রে করে আম পাকিয়েছেন এবং তা বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তিনি আরও জানান, অভিযানে মোট ৪৫ ক্যারেট কার্বাইডযুক্ত আম জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম