সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে পালানো আসামিরা ফিরতে শুরু করেছেন। রাত আটটার দিকে বিক্ষুব্ধ লোকজন জেলখানায় হামলা করে। এসময় জেলরক্ষীরা প্রধান ফটক খুলে দিলে ৫শ’ ৯৪ জন আসামির সবাই বের হয়ে যায়।
এদিকে, সাতক্ষীরায় জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও এখনো আতঙ্ক কাটেনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) অফিস, আদালত, ব্যাংক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। হামলাও ভাঙচুরের ভয় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান খোলেননি।
আন্তজেলা বাস ও পরিবহন না চললেও শহরে অন্যান্য যানচলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে সোমবার বিকালে বিক্ষুব্ধ জনতা কর্তৃক শহরের পাকা পোলের কাছে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কমপ্লেক্সসহ বেশ কয়েকটি দোকান আগুনে ভস্মিভুত হয়। যে কারণে অনুমতি থাকা সত্ত্বেও মঙ্গলবার শহরের অধিকাংশ দোকান পাঠ বন্ধ ছিল। সম্ভাব্য হামলা ও ভাঙচুরের ভয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেননি।
অপরদিকে, মঙ্গলবার দূপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে সংবাদ সম্মেলন করেন। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ না করতে বিক্ষুব্ধ জনগণকে আহবান করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় সমম্বয়ক ইমরান হোসেন বলেন, আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সরকার পতনের আন্দোলনের পর এখন আমরা রাষ্ট্রসংস্কারের দাবি জানাই।
তিনি বলেন, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমানুল্লাহ আল হাদিসহ গুটিকয়েক শিক্ষক আন্দোলনকারীদের পুলিশ প্রশাসন দিয়ে হেনস্তা করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিশাল আন্দোলনের মুখে তারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। শেখ হাসিনা পদত্যাগ পরবর্তী সহিংসতার কোন দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেই বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এএজে