কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে দুইশ’ জেলেসহ ২০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এর মধ্যে ১৩ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তবে এখনও আরও ১০টি ট্রলারের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। গভীর নিম্নচাপের কারণে উত্তাল সমুদ্র ও ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এসব ট্রলারডুবি ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়া থাকায় এক হাজারেরও বেশি মাছ ধরার ট্রলার শিববাড়িয়া নদীর দুই তীরে আশ্রয় নিয়েছে।
উদ্ধারকৃত জেলেরা ‘কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল’ ও ‘মহিপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আলীপুর বন্দর মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, ‘সাগরের অস্বাভাবিক ঢেউ এবং ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের ছয়টি ট্রলার ১০৮ জেলেসহ ডুবে যায়। এ সময় অন্য ট্রলারের মাধ্যমে অন্তত ৯৫ জেলেকে উদ্ধার করা গেলও নিখোঁজ রয়েছেন ১৩ জন। এছাড়া মহিপুরে ঝড়ের কবলে পড়া ১৮০ জেলে-মাঝিসহ ২০টি ট্রলারের মধ্যে ১০টির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা যায়নি। পাশাপাশি ভোলার একটি ট্রলার এই সাগরে ডুবে গেছে, ওই ট্রলারের একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
মহিপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দীন মাসুম ব্যাপারী বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি ট্রলার ঝড়ের কবলে ডুবে যায়। তার মধ্যে চারটি ট্রলারের জেলে ফিরে এসেছেন। একটি ট্রলারের ১২ জেলেকে ভারতীয় নৌবাহিনী উদ্ধার করেছে বলে শুনেছি। এ ছাড়া আমাদের আরও ১০-১৫টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। আমরা ধারণা করছি, ট্রলারগুলো ঝড়ের কবলে পড়ে সাগরের পশ্চিম দিকে চলে গিয়েছে। কিন্তু কতদূর চলে গিয়েছে সেটা নিশ্চিত নই।’
নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সেলিম মণ্ডল জানান, সাগরে ট্রলারডুবির খবর পেয়েছি। আমাদের টহল টিম সাগরে রয়েছে এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
খুলনা গেজেট/এমএনএস