বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপে উপকূলে ভারী বৃষ্টি ঝড়ছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বর্ষণ শনিবার দিনভর অব্যাহত থাকবে। তবে দেশের মধ্যাঞ্চলের তুলনায় উপকূলীয় এলাকায় ( কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা) ভারী বৃষ্টিপাত বেশি হবে। গতকাল সর্বোচ্চ ৪৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে।
কক্সবাজার ছাড়াও চট্টগ্রামে ১৫৯ মিলিমিটার, টেকনাফে ১১৩, ফেনীতে ৮৭, রাঙ্গামাটিতে ৫৯, পটুয়াখালীতে ১৫৫, খেপুপাড়ায় ১০৫ ও মোংলায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায়।
বৃষ্টির পূর্বাভাস প্রসঙ্গে আবহাওয়া অফিসের ফোকাস্টিং কর্মকর্তা শাহীনুল ইসলাম বলেন,‘ নিম্নচাপটি কক্সবাজারের দক্ষিণে অবস্থান করছে। আর এর প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।’
এই বৃষ্টিপাত কতদিন থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুক্রবার রাত থেকে কাল শনিবার দিনভর ভারী বৃষ্টিপাত হবে। রবিবার থেকে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা কমে আসতে পারে।
এদিকে চলতি মাসে একটি নিম্নচাপ হবে এবং সেই নিম্নচাপে বৃষ্টিপাত হতে পারে এমন আভাস দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, কক্সবাজার থেকে ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, মোংলা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর—পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে বলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টি দেশের কোন এলাকায় বেশি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবেআবহাওয়া অধিদপ্তর পতেঙ্গা কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক বলেন, ‘যেহেতু নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে তাই এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বেশি বৃষ্টি হবে। তবে দেশের মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে তেমন ভারী বৃষ্টির আভাস নেই।’
কিন্তু নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ছয় জন মারা গেছে। বৃষ্টিতে চট্টগ্রামেও পাহাড় ধসের ঝুঁকি ও জলাবদ্ধতা দুর্ভোগের শঙ্কাও রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে পানি নামতে পারে না বলে নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভারী বর্ষণ হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/কেডি