মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় জারি করা এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকবে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, উপকূলীয় মৎস্য আড়তে দেখা গেছে, সমুদ্রগামী জেলেরা জাল, ট্রলার ও ফিশিংবোট নিয়ে সাগর ও সুন্দরবন থেকে মৎস্য বন্দরগুলোতে ফিরে এসেছে।
সুন্দরবন নিকটবর্তী বাগেরহাটের শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী ও ফিশিং ট্রলার মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাগরে ও সুন্দরবনে মাছ ধরি, কিন্তু ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়ছি। ধারদেনা করে দিন কাটাতে হবে।’ জেলেদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে জেলে পুনর্বাসনের বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে দিলে কিছুটা হলেও সংকট দূর হতো।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মোংলা উপজেলা কমিটির সভাপতি বিদ্যুৎ মণ্ডল জানান, তারা শুধু সাগরে মাছ ধরে থাকেন। এ মাছের উপরই তাদের জীবন-জীবিকা। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে তাদের আয় বন্ধ হয়ে যায়, তাই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞাকালে বরাদ্দ যেন বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
মোংলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, এবার নিষেধাজ্ঞার সময়ে সাগর ও বন বিভাগের নিবন্ধিত সব জেলেদের জন্য ৬৫ দিনে দুই দফায় ৮৬ কেজি চাল দেওয়া হবে। সহসাই জেলেদের এসব চাল বিতরণ শুরু হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম