ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ১০ মাসের অপেক্ষা ফুরোল। সাকিব আল হাসানের জন্য অপেক্ষাটা আরো দীর্ঘ ছিল। প্রায় ১৬ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন। তবে টাইগার অলরাউন্ডারের প্রত্যাবর্তনটা হল রাজসিক। ফিরেই হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। বল হাতে দুর্দান্ত করার পর ব্যাট হাতেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
বল হাতে ৭ ওভার ২ বলে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন সাকিব। ওভার প্রতি রান দেন মাত্র ১.০৯ গড়ে। বাংলাদেশের পক্ষে দুইয়ের অধিক উইকেট নিয়ে এটিই সর্বনিম্ন ইকোনমির রেকর্ড।
ব্যাটসম্যানদের জন্য মরণ ফাঁদ পিচেও ১ চারে ৪৩ বলে ১৯ রান করেন সাকিব। তবে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে পারেননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছয় উইকেটের জয়ের পরও এটিই আক্ষেপ সাকিবের।
ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি যে ঘরোয়া খেলাগুলো খেলেছি সেগুলো ওভাবে বিবেচনায় নেই না। হয়তো ড্রেসিং রুমের বাইরে মানুষেরা এসব নিয়ে ভাবে, আমি ভাবি না। আমার মনে হয় এটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, আমি ভালো ব্যাট করেছি। হ্যাঁ আমি আউট হয়েছি, খেলা শেষ করে আসা যেত। সেটা পরের ম্যাচে চেষ্টা করবো।’
বল হাতে সফল হওয়ার মূল মন্ত্র কী ছিল? সাকিব জানালেন ঠিক জায়গাতে বল করেই সফল হয়েছেন তিনি, ‘আমার নজর ছিল ঠিক জায়গায় বল করা। এবং এরপর পিচ ও বলকে কাজ করত দেওয়া, আর সেটাই হয়েছে।’
দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই সবাই দশ মাস পর খেলছে। সবাই কিছুটা নার্ভাস ছিল ম্যাচ শুরুর আগে। কিন্তু আমার মনে হয় এটা শেষ এখানেই। পরের ম্যাচে আরও ভালো খেলা হবে।’
উইন্ডিজদের বিপক্ষে ১ম ম্যাচেই তার দাপট। বল হাতে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ। তার স্পিনজাদুতে বিভ্রান্ত করেছেন সফররতদের। বোলিং ফিগারটা দেখুন, ৭.২-২-৮-৪। মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেট! ক্যারিবিয়ানরা ধসে পড়ে ওখানেই।
মাত্র ১২২ রানে উইন্ডিজদেরকে গুটিয়ে দেয়ার মূল কারিগর সাকিব। যে রান টপকাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি টাইগারদেরকে। ৪-এ ব্যাটিংয়ে নেমে বড় ইনিংসের আভাস দিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। যদিও ইনিংস বেশি লম্বা করতে পারেননি। ৪৩ বলে খেলেছেন ১৯ রানের ইনিংস। লো স্কোরিং ম্যাচে ৪ উইকেট আর ১৯ রান নিয়ে সাকিব আল হাসানই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটা বাগিয়ে নিলেন।
আগামী শুক্রবার মিরপুরেই বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে। এ ম্যাচ জিতলেই সিরিজের জয় নিশ্চিত তামিম ইকবালদের।
খুলনা গেজেট/এমএম