১৮৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলেই শান্ত ফেরার পর দশম ওভারে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। তবে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে চাপটা ভালোভাবেই সামলে যাচ্ছিলেন এই সিরিজে অধিনায়কত্ব পাওয়া লিটন দাস। রানের চাকাও চলছিল বেশ ভালোভাবেই। ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে লিটনকে ফিরিয়ে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
সুন্দরের আর্ম বলটা কবজির মোচড়ে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কে এল রাহুলের হাতে ক্যাচ দেন লিটন। তাতে ভাঙে সাকিব-লিটনের ৪৮ রানের অনবদ্য জুটি। তবে লিটন ফিরলেও মুশফিককে নিয়ে ধীরগতিতে এগোচ্ছেন সাকিব। ৩০ বলে অপরাজিত ২০ রানের ইনিংসে ধীরগতিতে ব্যাট করলেও প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ দেননি তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২ ওভারে ৮৬ রান। জয়ের জন্য টাইগারদের এখন দরকার ২৮ ওভারে ১০১ রান। ৫ রান করে উইকেটের অপর প্রান্তে সাকিবকে সঙ্গ দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব-এবাদতদের বোলিং তোপে ৪১.২ ওভারে ১৮৬ রানে অল আউট হয় ভারত। মিরপুরের স্পিন উইকেটে ভারতীয় ব্যাটারদের একাই নাচিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচের একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসে ভারতীয়দের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন। এরপর মিডল ওভারে যখনই প্রয়োজন পড়েছে তখনই ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন তারকা এই অলরাউন্ডার। দুর্দান্ত বোলিংয়ে নামের পাশে যোগ করেছেন আরেকটি ‘ফাইফার’ বা পাঁচ উইকেটের অর্জন। আর তাতে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন গুটিয়ে গেছে দুইশ’র আগেই।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই দীপক চাহারের শিকার হয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ধীরগতির ইনিংস খেলতে থাকা এনামুল হক বিজয় নবম ওভারে একবার জীবন পান। তবে পরের ওভারে আউট হয়ে যান। মোহাম্মদ সিরাজের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ১৪ রানে ফেরেন তিনি।