বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা। মহাসড়কটির প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে বিশাল গর্ত আর ভাঙাচোরার কারণে বিপাকে পড়েছে মানুষ। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকছে যাত্রী ও পণ্যবোঝাই গাড়ি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আমড়াগাছিয়া কাঠের পুল থেকে তাফালবাড়ীর শাম বেপারীর বাড়ির সামনে পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা সবচেয়ে করুণ। দুই পাশ ভেঙে রাস্তার প্রস্থ কমে এসেছে মাত্র ১৮ ফুটে। মাঝখানে তৈরি হয়েছে ভয়ঙ্কর সব গর্তের সারি। এসব গর্তে প্রায়ই গাড়ি আটকে পড়ে, কখনও বা উল্টে যায়। দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান এবং পিকআপ মিলিয়ে প্রতিদিন শতাধিক যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু এখন অনেক পরিবহন সংস্থা পরিবহনের ক্ষতির কথা মাথায় রেখে তাদের গাড়ি এই রুট থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
শরণখোলা বিআরটিসির কাউন্টার পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চালানো মানে বিপদ ডেকে আনা। প্রতিদিন এই বিপদ মাথায় নিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব না। পরিবহন মালিকরা তাই এই রুটে বাস চালাতে ভয় পাচ্ছেন।”
একই কথা বললেন ফাল্গুনী পরিবহনের রিপন বয়াতী ও হা-মীম পরিবহনের চালক মো. মোজাহিদ। সড়কের এমন বেহাল দশায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
স্থানীয়রা বলছেন, এখনই সংস্কার না হলে একদিন এই সড়কই হয়ে উঠবে প্রাণঘাতীর কারন।
এ বিষয়ে বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, “সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগে বড় একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও এখন সেটি ছোট পরিসরে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি সমাপ্ত হলে ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হবে।”
খুলনা গেজেট/এএজে