খুলনা, বাংলাদেশ | ২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬৭
  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ২
  ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু

সাংবাদিক পিতার হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন দু’পুত্রের

জীবননগর প্রতিনিধি

ভাড়াটে খুনির হাতে নৃশংসভাবে খুন হন চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সাংবাদিক আবু সায়েম। বাবা হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সাংবাদিকদের নবম ও সপ্তম শ্রেনি পড়ুয়া দুই পুত্র মানববন্ধন করেন।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে আবু সায়েমের সন্তান ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যানারে হাতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
সাংবাদিক আবু সায়েম দৈনিক সমকাল পত্রিকায় উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। গত ২০১৫ সালে ৭ জুলাই রাতে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হন। ৮ জুলাই ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহত সায়েমের স্ত্রী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

মানববন্ধনের সাংবাদিক আবু সায়েমের ছেলে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু যোবায়ের রুদ্র ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু জাকারিয়া রওনক ছাড়াও বক্তব্য দেন, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজী সামসুর রহমান চঞ্চল, দৈনিক জীবননগর বার্তার সম্পাদক সামসুল আলম, জীবননগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিমন, নাঈদ, হাসানুজ্জামন, মহিবুল ইসলাম মুকুল। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক চাষী রমজান।

আবু সায়েমের ছেলেরা বলেন, ২০১৫ সালের ৭ জুলাই রাতে আমাদের বাড়িতেই বাবা সাংবাদিক আবু সায়েমকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান ভাড়াটে খুনি রাজীব সরকার। পরে তাকে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন থেকে আটক করে রাতেই পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আর বাবা পরের দিন ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। খুনি গ্রেপ্তার হওয়ায় পুলিশ এই হত্যার পেছনে কে রয়েছে সেটি তদন্তে গুরুত্ব দেয়নি। আর তখন আমরা দুই ভাই একেবারে ছোট ছিলাম আবার কেউ আমাদের পাশেও ছিল না। আমরা বাবার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার চাই।
আবু সায়েমের ছেলেরা আরও বলেন, বাবা মৃত্যুর আগে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে জনতা ব্যাংকের জীবননগর ব্রাঞ্চ থেকে ১০ লাখ টাকা সিসি লোন নিয়েছিলেন। পরে আমরা লোন শোধ করতে গিয়ে জানতে পারে বাবা হত্যার শিকার হওয়ার চার মাস থেকে ব্যাংক থেকে ২০১৫ সালের ১২ মার্চ আরও ২০ লাখ টাকা নিয়েছিল। তবে আমরা বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওই টাকার পরিমাণে কোনো মালামাল পাওয়া যায়নি। আবার বাবার মৃত্যুর পরও কেউ টাকাও ফেরত দেয়নি। আমাদের ধারণা এই টাকার ফেরত না দেওয়ার জন্য বাবাকে হত্যা করা হতে পারে। আর যে বাবাকে ছুরিকাঘাত করেছিল তার সঙ্গে তো আমাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আবার তিনি পার্শ্ববর্তী উপজেলার এবং ভাড়াটে খুনি।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!