বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি, দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ রাত ৯টার দিকে রুহুল আমিন গাজী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
এর আগে রোববার রাত পৌনে ৩টায় রুহুল আমিন গাজীকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেখানে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে আবারও ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। রুহুল আমিন গাজী কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন। আওয়ামী সরকারের আমলে দীর্ঘ কারাবাসে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। ব্যাক পেইন, উচ্চ ডায়াবেটিস, লবণ ঘাটতি (ইলেক্ট্রলাইট) সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদন জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন ইউনিয়নের সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান, সহ-সভাপতি ও বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান হিমালয় ও কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজে’র সাবেক সহ-সভাপতি ড. মো. জাকির হোসেন, আবু তৈয়ব ও মো. রাশিদুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম ও এইচএম আলাউদ্দিন।
নেতৃবৃন্দ এক শোকবাণীতে বলেন, রুহুল আমিন গাজী একজন দেশপ্রেমিক সাংবাদিক নেতা ছিলেন। দীর্ঘ দিন তিনি সাংবাদিক সমাজের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন। একাধিকবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজে’র সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রদত্ত শোক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম রুহুল আমিন গাজী ছিলেন একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিক। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন গুণী সাংবাদিককে হারালো। তার শূণ্যতা কখনোই পুরণ হবার নয়। বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমূখ। বিবৃতিদাতারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।
অনুরুপ বিবৃতি দিয়েছেন মহানগর বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিলটন, সদস্য সচিব রকিবুল ইসলাম মতি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদন জানিয়েছেন খুলনা অঞ্চল জামায়াতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, টিম সদস্য মাওলানা মশিউর রহমান খান ও মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন ও সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন ও সেক্রেটারি এম এস নূরুল্লাহ, খুলনা উত্তর জেলা সভাপতি বেলাল হোসাইন রিয়াদ ও সেক্রেটারি আবু ইউসুফ ফকির, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহফুজুর রহমান।
নেতৃবৃন্দ এক শোক বানীতে বলেন, রুহুল আমিন গাজী একজন দেশপ্রেমিক সাংবাদিক নেতা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান
খুলনা গেজেট/কেডি