পিরোজপুরের নিজ বাসা থেকে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আমির খসরুর মা সেতারা হালিমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় পিরোজপুরের সিআইপাড়া এলাকার নিজ বাসভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খায়রুল হাসান।
নিহত সিতারা হালিম (৭৪) পিরোজপুর পৌরসভার সিআইপাড়া এলাকার প্রয়াত অধ্যাপক আব্দুর হালিম হাওলাদারের স্ত্রী।
এ বিষয়ে সিতারা হালিমের মেয়ে সালাম আরজু জানান, শহরের সিআইপাড়া এলাকার তাদের নিজেদের বাসভবনের দ্বিতীয় তলায় তার মা একা থাকতেন। গতকাল রোববার রাতে সর্বশেষ তার মায়ের সঙ্গে কথা হয়। আজ সকালে তাদের বাসায় রং করার জন্য আব্দুল কুদ্দুস নামের একজন বাসায় এসে ডাকাকাকি করলেও তার মা দরজা না খুললে তিনি বাসার নিচতলার ভাড়াটের কাছে বিষয়টি জানান।
অনেকক্ষণ পর আবার ডাকাডাকি করলেও দরজা না খুললে ভাড়াটে ও রংমিস্ত্রি পেছনের দরজা দিয়ে ডাকতে গেলে তারা দেখতে পান পেছনের দরজা খোলা। তখন তারা বাসার ভেতরে ঢুকে দেখতে পান সিতারা হালিম মেঝেতে পড়ে আছেন। এ সময় তাকে বিষয়টি ফোন দিয়ে জানালে তিনি ও তার স্বামী বাসায় এসে তার মাকে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
সালাম আরজু আরও দেখেন, তার মায়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে এবং ঘরের আলমারি ও আসবাবপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। এ সময় তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শ্বাসরোধ করে সিতারা হালিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান, মৃত অবস্থায় সিতারা হালিম নামের এক বৃদ্ধ নারীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খায়রুল হাসান জানান, আজ সকালে খবর পেয়ে পুলিশ সিতারা হালিমের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে রাতে তাকে হত্যা করে ঘরের ভেতরে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।