দেশের স্বাধীনতার ওপর যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আঘাত করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। শুক্রবার (৩১ মার্চ) কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। পরে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন হানিফ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে উল্লেখ করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘এ সরকারের সময় সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। তারা যেভাবে খুশি নিয়মিত লিখছে। সরকারের সমালোচনা করছে। তাতে কারোর কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের মূল জায়গা স্বাধীনতার ওপর যদি আঘাত আসে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব। জনগণও সেটাই প্রত্যাশা করে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসকে কটাক্ষ করে কোনো উক্তি যদি কারও উদ্ধৃতি দিয়ে ছাপানো হয়, যা সে বলেনি, টাকা দিয়ে বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে; এটি একটি চরম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। যা রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াটাই যৌক্তিক। ব্যবস্থা নেওয়ার পরে যদি কারও মনে আঘাত লাগে, তবে বুঝতে হবে তারাও এ ষড়যন্ত্রের অংশীদার।’
দেশের বিরুদ্ধে এটি নতুন ষড়যন্ত্র নয় জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘এক এগারোর সময় শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। পদ্মা সেতু নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। যা এই পত্রিকায় (দৈনিক প্রথম আলো) ফলাও করে সে সময় ছাপানো হয়। স্বাধীনতা দিবসের দিনের এই ঘটনাও আগের মতোই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরেকটি ষড়যন্ত্র।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজু প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি