বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম মেম্বর এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক এমপি বলেছেন, গ্লোবাল পলিটিক্সে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সেই পলিটিক্স বিচক্ষণতার সাথে মোকাবেলা করছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজ তিনি বিশ^ নেতা হিসেবে গ্লোবাল পলিটিক্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা হিসেবে শত প্রতিকূলতার ভিতরেও যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা করতে বিশে^র দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে উন্নীত করতে সমর্থ হয়েছেন। যেদিন বাংলাদেশ স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে সেই দিনই বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ হবে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর মতো দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলো। সেই উজ্জীবিত গণজাগরণ একসময় গণবিস্ফোরণ রূপ নেয়। আর সেই গণবিষ্ফোরনের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তিনি বাঙালির অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশে^র বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করান।
শনিবার (১৮ মে) রাতে দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করতে হবে। তাঁরা দেশের সংগঠনকে শক্তিশালী করে গণবিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। এখনও বাংলার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হবে না তা হতে পারে না। সুতরাং সহযোগী সংগঠনকে অবিলম্বে গঠন করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন এমপি। এসময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, নুর মোহাম্মদ শেখ, এ্যাড. সরদার আনিছুর রহমান পপলু, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, শেখ সৈয়দ আলী, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ^াস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান হাফিজ, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. ফারুক হোসেন, আব্দুল হাই পলাশ, বাবুল সরদার বাদল, ফেরদৌস হোসেন লাবু, শেখ আব্দুল আজিজ, মঈনুল ইসলাম নাসির, জামিরুল হুদা জহর, চ. ম. মুজিবর রহমান, শেখ জাহিদুল ইসলাম, নুর ইসলাম, শেখ আবিদ উল্লাহ, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. শিহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. আযম খান, শেখ এশারুল হক, শেখ মো. রুহুল আমিন, আব্দুল হালিম সরদার, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, অহিদুল ইসলাম পলাশ, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, মীর মো. লিটন, মুন্সি মোত্তালিব মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা মোতাবেল মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, সফিকুর রহমান পলাশ, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, নাসরিন আক্তার, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, মীর বরকত আলী, কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, কাউন্সিলর ইমরুল ইসলাম, কাউন্সিলর জাকির হোসেন বিপ্লব, কাউন্সিলর রাফিজা আক্তার মীরা, আঞ্জুমনোয়ারা বেগম, মমতাজ বেগম, জেসমিন সুলতানা শম্পা, মিনু রহমান, পারভিন ইলিয়াছ, নুরিনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি