খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের। বোলিং ইনিংসেই নিজেদের কাজটা সেরে রেখেছিল অজিরা। ১০০ রানের নিচেই বাংলাদেশকে আটকে রেখেছিল তারা। দরকার ছিল ধীরস্থির ব্যাটিং। সেটাই করেছে অস্ট্রেলিয়ায়। রানতাড়ায় খুব বেশি তাড়াহুড়ো দেখাননি কেউই। এলিস পেরি একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করেছেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই তারকা।
বাংলাদেশের দেওয়া ৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন পেরি। অ্যাশলি গার্ডনার করেছেন ২০ রান। বাংলাদেশের হয়ে ১ টি করে উইকেট সুলতানা ও রাবেয়ার। এই জয়ের পর তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিলো অস্ট্রেলিয়া।
৯৮ রানের ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফোব লিচফিল্ডের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ফাহিমার রানআউটের ফাঁদে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। চলতি সিরিজে দুই ম্যাচেই রানের দিক থেকে হতাশ করেছেন এই ওপেনার। অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিও বড় করতে পারেননি ইনিংস। নিজের জন্মদিনে আউট হয়েছেন মোটে ১৫ রান করে।
রাবেয়া খানের বলে চার্জ করে খেলতে গিয়ে নাহিদাকে ক্যাচ দেন হিলি। ২৪ রানে দুই উইকেট পতনের অজিদের চাপমুক্ত করার দায়িত্ব আসে বেথ মুনি এবং এলিস পেরির ওপর। তবে মুনিও হতাশ করেছেন। ১২ বলে ৮ করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। তাহলিয়া ম্যাকগ্রা ২২ বলে করেছেন ১০। তবে কাজের কাজ করে গিয়েছেন। অ্যাশলি গার্ডনারকে নিয়ে বাকি ম্যাচটা শেষ করেছেন পেরি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে হতাশ করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এলিস পেরি ছাড়া সকলেই স্বাগতিক ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ব্যাটারদের প্রত্যেকেই এদিন ছিলেন বিবর্ণ। এমনকি বাংলাদেশের হয়ে দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন মোটে ৩ জন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টাইগ্রেসদের ইনিংস থেমেছে ৯৭ রানে।
ইনিংসের শুরুতে একের পর এক ডট বল খেলেছেন দুই ওপেনার ফারজানা পিংকি এবং সোবহানা মোস্তারি। পাওয়ারপ্লেতেই ছিল চার মেডেন ওভার। এসেছিল মোটে ১৭ রান। হারাতে হয়েছে সোবহানার উইকেট। আগের ম্যাচে ডাক মেরে বিদায় নেওয়া পিংকি এদিন ছিলেন আরও ধীরগতির। ১৫তম ওভারে সোফি মলিনিউয়ের বলে যখন আউট হয়েছেন, তখন ৫২ বলে করেছেন মোটে ৭ রান।
এরপরের দুই ওভারে বাংলাদেশ হারিয়েছে আরও দুই উইকেট। মুরশিদা আউট হয়েছেন অ্যাশলি গার্ডনারের বলে। ক্যাচ নিয়েছেন সোফি। পরের ওভারে লেগ বিফোর হয়েছেন দলের সবচেয়ে বর ভরসা অধিনায়ক জ্যোতি। ৫ বলে ১ রান করে থামে তার ইনিংস। ফাহিমা খাতুন এবং রিতু মণি এরপর গড়েছেন ২৭ রানের জুটি। দলীয় স্কোর ৫০ ছাড়ায় তাদের ১০ রানের দুই ইনিংসের কল্যাণে। পরপর দুই ওভারে আউট হয়েছেন তারাও। দুজনেই উইকেট দিয়ে এসেছেন উড়িয়ে খেলতে গিয়ে। রিতুর উইকেট পেয়েছেন সোফি। আর ফাহিমার উইকেট গিয়েছে জর্জিয়া ওয়্যারহ্যামের ঝুলিতে।
এই টানা ব্যর্থতার মাঝেও ব্যতিক্রম ছিলেন নাহিদা। শেষে এসে ২২ রানের ইনিংস দিয়ে দলের স্কোর টেনে নিয়েছেন ১০৫ পর্যন্ত। অজিদের পক্ষে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন সোফি মলিনিউ। ২ উইকেট পেয়েছেন অ্যাশলি গার্ডনার, অ্যালানা কিং এবং জর্জিয়া ওয়্যারহ্যাম। একটি উইকেট মেগান শ্যুটের।
খুলনা গেজেট/এমএম