খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বেগম খালেদা জিয়া
  ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা ৬ মামলা বাতিল করেছে হাইকোর্ট

সহকর্মী ঈর্ষা করে? জেনে নিন কী করবেন

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

অফিস তো কেবল কাজ করার জায়গাই নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার একটি বড় পরিসরও। তাইতো অফিসকে বলা হয় ‘দ্বিতীয় পরিবার’। আপনার কর্মক্ষেত্রে যদি কাজ করার ইতিবাচক পরিবেশ থাকে তবে অফিস কর্তৃপক্ষ ও আপনি উভয়েই সমৃদ্ধ হবেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, অধিকাংশ অফিসে সেই পরিবেশ থাকে না। কর্মীরা একে অন্যকে ঈর্ষা করেন এমন অফিসের সংখ্যা কম নয়। বিশেষ করে, যে কর্মীর দক্ষতা যত বেশি, সে তত বেশি ঈর্ষার শিকার হতে পারে। আপনি কি এমন কেউ যিনি সহকর্মীর ঈর্ষার শিকার? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক করণীয়-

পেশাদার থাকুন

ঈর্ষার মুখোমুখি হলে সরাসরি সমস্যাটির সমাধান করাটাই সঠিক মনে হতে পারে। তবে সব সময় পেশাদার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গসিপ বা প্রতিশোধ নেওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। এর পরিবর্তে নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে নিজের কাজের ওপর মনোযোগ দিন। পেশাদারিত্ব বজায় রেখে মানসিক পরিপক্কতা প্রদর্শন করুন এবং অন্যদের জন্য একটি ইতিবাচক উদাহরণ স্থাপন করুন।

সহানুভূতি থাকুক

বেশিরভাগ সময় আইডেন্টিটি ক্রাইসিস বা হীনমন্যতা থেকে ঈর্ষার উদ্রেক হয়। তাই প্রথমে আপনার সহকর্মীর আবেগের অন্তর্নিহিত কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। সে কি চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, নাকি আপনার কৃতিত্বের কারণে হীনমন্য বোধ করে? তার অনুভূতি বুঝুন এবং সহানুভূতিশীল হোন। এটি সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কখনো কখনো কেবল তার কথাগুলো মন দিয়ে শুনলেও ঈর্ষা দূর হয়ে যেতে পারে।

যদিও সহানুভূতি গুরুত্বপূর্ণ, তবে সম্পর্কে বাউন্ডারি নির্ধারণ করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার সহকর্মীর হিংসা ও আক্রমনাত্মক আচরণ, অযৌক্তিক সমালোচনা আপনার কাজকে দুর্বল করার চেষ্টা করে, তবে এই সমস্যাগুলো শান্ত থেকে দৃঢ়ভাবে সমাধান করুন। এটা পরিষ্কার করুন যে এই ধরনের আচরণ অগ্রহণযোগ্য এবং আপনি একটি ইতিবাচক এবং সহযোগিতামূলক কাজের পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা

ঈর্ষা প্রতিযোগিতামূলক কর্মক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায়, যেখানে কর্মচারীরা মনে করে যে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দী। একটি সহযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে এর প্রতিরোধ করুন। আপনার সহকর্মীকে প্রকল্পগুলোতে সহযোগিতা করার জন্য আমন্ত্রণ জানান বা বিভিন্ন কাজে তাদের ইনপুট চান। আপনি তার অবদানকে মূল্য দেন এবং তার জন্য হুমকি নন তা বুঝতে দিন। এতে আপনি ঈর্ষার অনুভূতি কমাতে পারেন এবং আরও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন।

প্রয়োজনে ম্যানেজমেন্টকে জানান

যদি আপনার সহকর্মীর ঈর্ষা উৎপীড়নের পর্যায়ে চলে যায় বা একটি বিষাক্ত কাজের পরিবেশ তৈরি করে, তবে ম্যানেজমেন্টকে জানাতে পারেন। অপেশাদার আচরণের যেকোনো দৃষ্টান্ত নথিভুক্ত করুন এবং আপনার সুপারভাইজার বা এইচআর বিভাগের নজরে আনুন। একটি স্বাস্থ্যকর এবং উৎপাদনশীল কর্মক্ষেত্র বজায় রাখার জন্য এ জাতীয় সমস্যা অবিলম্বে সমাধান করা অপরিহার্য।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!