রাজধানীর শ্যামপুরে সহকর্মীদের দেওয়া পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ যুবক রিয়াদ হোসেন (২০) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার রাত ১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার জুরাইনের কমিশনার রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রিয়াদ। তার বাবা ফরিদ মিয়া একজন গাড়িচালক। রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। করোনা মহামারির মধ্যে পরিবারে অস্বচ্ছলতা দূর করতে ৪ নভেম্বর ৫ হাজার টাকা বেতনে জুরাইন ‘এস আহমেদ’ পেট্রোল পাম্পে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ভোরে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাকে।
শ্যামপুর থানার এসআই মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ওই পেট্রোল পাম্পে সহকর্মীরা রিয়াদের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। এ ঘটনায় রিয়াদের বাবার দায়ের করা মামলায় মাহমুদুল হাসান ইমন (২২), ফাহাদ আহমদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনিকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা তিনজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। ভিকটিম মারা যাওয়ায় আসামিদের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবার আবেদন করা হবে।
এসআই মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই পেট্রলপাম্পে রিয়াদ ও গ্রেপ্তার তিনজন অপারেটরের দায়িত্ব পালন করছিল। ইমন রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় রিয়াদ তাকে জাগায়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে অন্য দু’জনকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম