হাইতিতে সশস্ত্র গ্যাংদের হামলায় দেশটির নিরাপত্তা ভেঙে পড়েছে। কয়েকদিন আগে গ্যাংদের হামলায় কারাগার থেকে পালিয়ে যায় কয়েক হাজার বন্দী। এরপরই হাইতি সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে।
এমন পরিস্থিতিতে হাইতি পুলিশকে এসব গ্যাংকে নির্মূল করতে জাতিসংঘের সহায়তার বিষয়টি সামনে এসেছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র শুক্রবার (২৯ ফেব্রুয়ারি ) জানান, হাইতিতে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠাতে বাহামাস, বাংলাদেশ, বার্বাডোস, বেনিন এবং চাদ আবেদন জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীকে সহায়তার জন্য গঠিত ট্রাস্টে ১০ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়া হয়েছে। এই ট্রাস্টে আরও ৭৮ মিলিয়ন ডলার দেয়া হবে।
প্রায় দেড় বছর আগে গ্যাংদের নির্মূলে জাতিসংঘের কাছে সহযোগিতা চায় হাইতির সরকার। এরপর গত অক্টোবরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ হাইতিতে একটি বিদেশি মিশন পরিচালনার সম্মতি দেয়। তবে এটি জাতিসংঘের কোনো মিশন নয়।
হাইতি অনেক আগে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইলেও এই মিশনে নেতৃত্ব দেয়ার মতো কোনো দেশকে খুঁজে না পাওয়ায় সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো যাচ্ছিল না। তবে গত বছর কেনিয়া এগিয়ে এসেছিল। তারা সেখানে ১ হাজার পুলিশ সদস্যকে পাঠানোর কথা জানিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে দেশটির আদালত এই উদ্যোগকে অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেনিন নিরাপত্তা বাহিনীর দেড় হাজার সদস্যকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাংলাদেশসহ বাকি চার দেশ কতজন পুলিশ বা সেনা পাঠাবে সে বিষয়টি জানাননি তিনি।
জাতিসংঘ বলছে, হাইতির ৫৫ লাখ মানুষের মধ্যে অর্ধেক মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এজন্য তারা এ বছর ৬৭৪ মিলিয়ন ডলারের আবেদন করেছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ