বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের মতো উৎসব ও আনন্দের দিনে যেখানে রাজপথে ফুল ছিটানোর কথা, সেখানে রাজপথে রক্ত ঝরানো হলো। এই নির্মম ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। স্বাধীন দেশে যেকোনো কর্মসূচি পালন করার বা যেকোনো বিষয়ে স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করার অধিকার সব নাগরিকের আছে। কিন্তু স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মুহূর্তে বলতে হচ্ছে স্বাধীন দেশে জনগণ আজ যেন পরাধীন।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই রক্তের নিষ্ঠুর হোলিখেলা চলছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির শীর্ষ এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘বিরোধী দল এবং বিরুদ্ধ মতের সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত ও অমানুষিক নির্যাতন এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আওয়ামী সরকার যেন জনগণের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ চালাচ্ছে।’
আজ শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সফর এসেছেন। মোদির এই সফরের বিরোধিতা করে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বিক্ষোভ করে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভের সময় পাঁচজন নিহত হয়। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বায়তুল মোকাররম ও যাত্রাবাড়ী এলাকায়। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল তাঁর বিবৃতিতে এ ধরনের ‘নির্মম, ন্যাক্কারজনক ও অমানবিক’ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ও দলীয় ভয়াবহ সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ভীতসন্তস্ত্র রেখে রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রাখতে দেশ যেন এখন গুম, খুন, অপহরণ ও নির্যাতন-নিপীড়ণের ভয়াল উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই আওয়ামী সরকার জনগণকে তোয়াক্কা করে না, জনগণের ভালমন্দ বিচার কিংবা জনগণের আবেগ-অনুভুতিকে গুরুত্ব দেয় না।’