বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার চুরি করছে, ডাকাতি করছে। বর্গীদের মতো ডাকাতি ও হামলা করছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো হামলা করছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন ছাড়াই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে দেশটাকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ২০১৪ সালে তারা ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছে, ২০১৮ সালে বিনা ভোটে সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা পায়তারা করে আবারও এমন একটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসতে চায়।
‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বলেছে, আমরা ইভিএম চাই। কারণ এটি আমাদের চেতনার সঙ্গে জড়িত।’ এ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ইভিএম ছাড়া তারা জিততে পারবে না। ইভিএম হলো একটি জালিয়াতির যন্ত্র। আপনারা ভোট দেবেন ধানের শীষে, ভোট পড়বে নৌকায়।
পেশাজীবীরা দেশ ও মানুষের জন্য দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তারা সংহতি প্রকাশ করেছেন। দেশের কী অবস্থা তা জানতে রিকশা চালকদের প্রশ্ন করুন যে তারা কীভাবে সংসার চালাচ্ছেন। শিক্ষকরা আজ সংসার চালাতে পারছেন না। কৃষকদের জিজ্ঞাসা করুন, তারা ভালোভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারছেন কিনা। ছোট চাকরিজীবীরা আজ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার এখন ভদ্র হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক চাপে তারা এখন দেখাতে চায়, বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। এটা এক ধরনের প্রতারণা। এই প্রতারণা তাদের চরিত্রের সঙ্গে মিশে গেছে। গত ১৩ বছরে তারা আমাদের ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।
ফখরুল বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো খালি করে দিচ্ছে। কিছুদিন আগে দেশকে সিঙ্গাপুর বলত, আর এখন দেশের রিজার্ভ তলানিতে।
বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেশি দামে তেল বিক্রি করে পেট্রোলিয়াম কোম্পানি টাকা মজুদ করেছে। আর বলেছে আমরা সমন্বয় করব। এখন বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমছে, আর আমাদের দেশে বাড়ছে। কই এখন সমন্বয় করছেন না কেন!
বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, কামালউদ্দিন সবুজ, এবিএম আবদুল্লাহ, অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. তাজ মেরী, ড. মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এস আই