খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গণতন্ত্র হত্যা করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে বর্তমান সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংসপন্থা অবলম্বন করেছে।
গণবিক্ষোভের বিস্ফোরণ ঠেকানোর জন্যই দলীয় চেতনায় সাজানো প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামিয়েছে। তবে বর্তমান সরকারের পতনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপরমাত্র। তারা বলেন, সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ সরকার উন্নয়নের ফানুসের মায়াজাল সৃষ্টির মাধ্যমে মূলতঃ দুর্নীতির উল্লম্ফন দেশে এক বিকট রূপ ধারণ করেছে। তারা ঘরে ঘরে আলো পোঁছে দেয়ার কথা বলে, কিন্তু ঘরে ঘরে এখন ঘুটঘুটে অন্ধকারের আধিপত্য। নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য, অর্থপাচারসহ সকল অপকর্ম আড়াল করতে দেশব্যাপী সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরি করেছে। আর এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরছে। বিএনপির
কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে। মনে হয় তাদের পায়ের নিচের মাটি কাঁপতে শুরু করেছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা’র সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, তারিকুল ইসলাম জহির, কাজী মো. রাশেদ, স ম আ. রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আ. রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুল রহমান কাকন, ওয়াহিদুর রহমান দিপু, বেগ তানভিরুল আজম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, অ্যাডভোকেট মাসুম রশিদ, কে এম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, অ্যাডভোকেট চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, একরামুল হক মিল্টন, জহর মীর, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিব বিশ্বাস, আহসান উল্লাহ বুলবুল, শেখ জামাল উদ্দিন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, আফসার উদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, আব্দুর রহমান ডিনো, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মো. জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্কাস আলী, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, মাসুদ খান বাদল, ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম বাচ্চু, এডভোকেট কানিজ ফাতেমা আমিন, ইশতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মো. তাজিম বিশ্বাস, মতলুবুর রহমান মিতুল, সজিব তালুকদার প্রমূখ।
সভা থেকে যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনিকে হত্যাকান্ডে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জ্ঞাপনসহ অবিলম্বে প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহবান জানানো হয়।
সভা থেকে মহানগরীর ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা বিএনপির কমিটি গঠনকল্পে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত ও অনুমোদিত হয়।
খুলনা গেজেট / আ হ আ