খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, স্বাধীনতার সূবর্ন জয়ন্তি পালিত হচ্ছে অঘোষিত কারফিউর মধ্য দিয়ে। জনগণকে বাদ দিয়েই মিডনাইটের ভোটে নির্বাচিত সরকার এই দিনটি উদযাপন করছে। করোনার ভয়াবহতা উপেক্ষা করে তারা বিদেশি মেহমানদের নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। দেশের মানুষের কি হবে, কি হবে না- সে বিষয়ে তাদের কোন আগ্রহ নেই।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেলে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি সূবর্ণ জয়ন্তির কেন্দ্রীয় ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেয়ার পুর্বে আলোচনায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা মঞ্জু আরও বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু, এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। ১৯৭১ সালে তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন, সে ব্যাপারেও কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, বন্ধু দেশের সঙ্গে অমীমাংসিত যে সমস্যাগুলো রয়েছে, বিশেষ করে পানি হিস্যার কোনো সমাধান হয়নি। ১০ বছর আগে তারা বলেছেন সমাধান করবেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু সরকার একতরফাভাবে ফেনী নদীর পানি দিয়েছে। সীমান্তে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হয়নি। প্রতি বছরে প্রায় ১শ’ থেকে ২শ’ হত্যা করা হচ্ছে। আমরা সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। কিন্তু কেউ আমাদের প্রভু হোক, এটা আমরা চাই না।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বেআইনিভাবে ও জোর করে ক্ষমতা দখল করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই এখন আর আমরা স্বাধীন বলতে পারি না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে। শৃঙ্খলিত বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
সূবর্ণ জয়ন্তির কর্মসুচির মধ্যে শুক্রবার সুর্যদয়ের সাথে সাথে মহানগর ও জেলা বিএনপির সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় গল্লামারি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া এবং দলীয় কার্যালয় আলোকসজ্জা করা হয়।
আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মুজিবর রহমান, এড. গোলাম মওলা, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, আবু সাঈদ শেখ, নাজির উদ্দিন নান্নু, বদরুল আনাম খান, শেখ জামিরুল ইসলাম, ইশহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, আসলাম হোসেন, আব্দুল জব্বার, শামসুল বারী পান্না, তানভিরুল আযম রুম্মান, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, জাকারিয়া লিটন, তরিকুল আলম তুষার, জাবীর আলী, শারমীন শায়লা পারভীন প্রমুখ। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।