খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

সরকার গঠনের জন্য ৭ দিন সময় দিলেন নেপালের প্রেসিডেন্ট

গেজেট ডেস্ক

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী রোববার দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং তাদের সাত দিনের সময় দিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে ২০ নভেম্বরের প্রতিনিধি পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নির্বাচন সংক্রান্ত চূড়ান্ত ফলাফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এ নির্বাচনে যেহেতু কোনো একক দল নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তাই প্রেসিডেন্ট হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের একজন সদস্যকে ডেকে বলেছেন যে তিনি সংবিধানের ৭৬ (২) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত দুই বা অন্যান্য দলের সহযোগিতায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেন। ২৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত এর জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সিপিএন-মাওবাদী সেন্টারের সভাপতি পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ড নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে দেখা করে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে দুই নেতা ক্ষমতাসীন জোটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নতুন সরকার গঠনের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

একটি দল বা জোটের স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২৭৫ সদস্যের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ১৩৮টি আসন প্রয়োজন। কিন্তু সরকার গঠনের মতো পর্যাপ্ত আসন কোনো দলের হাতেই নেই। ক্ষমতাসীন জোটের হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি আসন রয়েছে, তবে মন্ত্রিসভায় কে নেতৃত্ব দেবে সে সম্পর্কে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

নভেম্বরের নির্বাচনে দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেস (এনসি) ৮৯টি আসন নিয়ে একক বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। ক্ষমতাসীন জোটের অন্যান্য মিত্ররা মিলে ৪৭টি আসন পেয়েছিল।

নেপালি কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রকাশ শরণ মাহাত বলেন, প্রচণ্ড আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী দেউবার সঙ্গে বৈঠকে তার পাঁচ বছরের মেয়াদের প্রথম আড়াই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নেপালি কংগ্রেসের কাছ থেকে সমর্থন চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে তারা চুক্তিতে পৌঁছান বলেও জানা গেছে। মাহাত বলেন, নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসা নেপালি কংগ্রেসের পক্ষে সরকারকে নেতৃত্ব দেওয়া আরও সহজ হবে।

নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রচণ্ড দেউবার সমর্থন চেয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে সিপিএন-মাওবাদী সেন্টারের নেতা নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা বলেন, তিনি দেউবার কাছ থেকে জানতে চান যে তিনি কীভাবে এগিয়ে যেতে চান। এর জবাবে দেউবা বলেন, সব জোটের অংশীদারদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রচণ্ড নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই পাবলিক ফোরামে নির্বাহী প্রধানের পদের জন্য নিজেকে দাবিদার হিসাবে উপস্থাপন করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র কাঠমান্ডু পোস্ট পত্রিকাকে জানিয়েছে, ষষ্ঠবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা দেউবা, প্রচণ্ডকে কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দেননি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বে সিপিএন-ইউএমএল এবং তার সহযোগীদের ১০৪ জন সদস্য রয়েছে। কিছুদিন আগে প্রচণ্ড বলেছিলেন, পরবর্তী সরকার গঠনের চাবিকাঠি তার দলের হাতেই রয়েছে।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!