সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে যে হরিলুট চলছে তারই প্রতিফলন হচ্ছে পাহাড়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক সময়ের ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও টাকা পাচারে ঘটনা দেখে পেশাগত ডাকাতরা উৎসাহিত হয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতি বা লুটপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী দাবি করেন, সরকারের নতজানু নীতির কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পাহাড়ে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছে। সমাজে নৈরাজ্য পরিস্থিতির জন্য অগণতান্ত্রিক সরকার দায়ী।
রাষ্ট্র যখন নিজেই লুটেরাদের ভূমিকা পালন করে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের ওপর ভর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, সেটা দেখেতো সমাজে পেশাগত ডাকাতরা উৎসাহিত হবেই— এমন মন্তব্য করেন রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিরা এখন বিদেশের মাটিতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের মালিক। এ খবর গণমাধ্যমে আপনারা দেখেছেন। একজন এমপির বিদেশে ২৫০-৩০০টি বাড়ি, এটি চিন্তা করা যায়? সুতরাং সমাজের পেশাগত ডাকাতরাতো উৎসাহিত হবেই।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীনরা লাখ লাখ কোটি টাকা তারা পাচার করে বেগম পাড়া, সেকেন্ড হোম তৈরি করেছে। তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। বিশ্ববাসী এ অগণতান্ত্রিক সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
দেশে যখন গণবিরোধী সরকার থাকে তখন দেশের অভ্যন্তরে নানা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী জন্ম নেয় উল্লেখ করে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, পাহাড়ের সন্ত্রাসের ঘটনায় যে সরকারের ইনভলমেন্ট নেই সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটি অত্যন্ত রহস্যজনক। তারা জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না।
পাহাড়ের সন্ত্রাসী ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
খুলনা গেজেট/ এএজে