সরকারের সুনির্দিষ্ট দুটি দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দুদকে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা দেন। এ সময় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু তার সঙ্গে ছিলেন।
এর পরপরই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপির প্রতিনিধি দল।
এর আগে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রতিনিধি দলটি দুদকে প্রবেশ করে। বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আপনারা (গণমাধ্যম) এই সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির খবর পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেল এবং নিউজপোর্টালে প্রকাশ ও প্রচার করছেন। এই সাহসিকতার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ দিতেই হয়। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত এসব দুর্নীতির খবরের ওপর ভিত্তি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো অ্যাকশনে যায়— এমনটি আমাদের চোখে পড়ে না। বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালন করায় দুদকের একজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং হেনস্তা করার ঘটনা ঘটেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, তারপরও একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং প্রচারিত দুর্নীতির খবরগুলো যাচাই-বাছাই করে দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেব। এতে কোনো লাভ হবে কিনা জানি না। তবে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এই কাজটা করতে চাই। আমাদের দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ একটি প্রতিনিধি দল দুর্নীতির অভিযোগগুলো নিয়ে দুদকে যাবে।
এদিকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের আসা খবরে দুদকের প্রধান কার্যালয় চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশের দুটি ইউনিট দুদক কার্যালয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
খুলনা গেজেট/ এস আই