খুলনায় বিএনপি আয়োজিত প্রতিকী গণ অনশন কর্মসূচিতে বক্তারা সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে উচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি হলেও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যত কোন পদক্ষেপ নেই। কারণ এই সিন্ডিকেট শাসক দলের ছত্রছায়ায় লালিত।
বক্তারা বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা নেই বলেই তারা জনদূর্ভোগ লাঘবে আন্তরিক নয়। আওয়ামী লীগ সরকার মনে করেছে গত দুই বারের মতো আগামী সংসদ নির্বাচনও তারা এক তরফা ভাবে করে নেবে। এ জন্য অনুগত নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দলীয় কর্মী হতে বাধ্য করেছে। বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। ভোট হবে ইভিএম’এ নয়, ব্যালটে। এরপরও কেউ চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে চাইলে তাদেরকে রাজপথেই মোকাবেলা করা হবে।
চাল, ডাল, তেল, গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার (৩০ মার্চ) খুলনায় জেলা বিএনপি এই প্রতিকী গণ অনশন কর্মসূচি পালন করে। সকাল ১০ টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি শুরু হয়। চৈত্রের প্রখর রোদ ও খরতাপ উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী কর্মসুচিতে অংশ নেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে একের পর এক মিছিল আসতে থাকে। চলতে থাকে ধারাবাহিক বক্তৃতা পর্ব। বিকেল ৩টায় জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খানকে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গান বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সহ সভাপতি মো: রাশিদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর অনশন ভাঙ্গান বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: গাজী আব্দুল হক।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর সঞ্চালনায় কর্মসূচি চলকালে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর কমিটির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, শেখ আবু হোসেন বাবু, সাইফুর রহমান মিন্টু, সৈয়দা রেহানা ঈসা, মোল্লা খাইরুল ইসলাম, রকিব মল্লিক, মোস্তফাউল বারী লাবলু, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, শেখ তৈয়েবুর রহমান, বদরুল আনাম খান, শামীম কবির, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম নান্নু, মেজবাউল আলম, মাসুদ পারভেজ বাবু, এনামুল হক সজল, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ মিরাজ, কামরুজ্জামান টুকু, এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, চৌধুরী কাওছার আলী, এ্যড. মোমরেজুল ইসলাম , ডাঃ আব্দুল মজিদ, খায়রুল ইসলাম খান জনি, শাকিল আহম্মেদ দিলু, এ্যড.এ কে এম শহিদুল আলম, ইলিয়াস মল্লিক, হাফিজুর রহমান, আনিছুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, জি এম রফিকুল ইসলাম, মুর্শিদ কামাল, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, এহতেশামুল হক শাওন, মনিরুজ্জামান লেলিন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজমুর সাকির পিন্টু, আরিফুর রহমান আরিফ, খন্দকার ফারুক হোসেন, সেলিম সরদার, আফসার উদ্দিন মাস্টার, সরওয়ার হোসেন, এ্যড.মাসুম আল রশিদ, তানভিরুল আজম রুম্মান, সাইদুজ্জামান খান, হাসনাত রিজভী মার্শাল, সরদার আব্দুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, ইঞ্জিনিয়ার টিটু ভূইয়া, শেখ আবুল বাশার, নুরুল আমিন বাবুল, শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, গাজী আব্দুল হালিম, শামসুল বারীক পান্না।
অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইবাদুল হক রুবায়েদ, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, আতাউর রহমান রুনু, খান ইসমাঈল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার নুর ইসলাম বাচ্চু, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আজাদ আমিন, নিঘাত সীমা, সাহানাজ সরোয়ার।
থানা বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোল্লা সাইফুর রহমান সাঈফ, শেখ দিদারুল হোসেন, মোঃ এনামুল হক, আব্দুল মান্নান খান, এম এ হাসান, মনিরুজ্জামান বেল্টু, মোঃ কোহিনূর ইসলাম, এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম, শাহানাজ ইসলাম, সাইফুল মোড়ল, এ্যড.মারুফ হোসেন, এ্যড.সেতারা সুলতানা, মিসেস মনি, হারুন গাজী।
খুলনা গেজেট/ টি আই