খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭
  ভারতীয় সব বাংলা চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে করা রিটের শুনানি বুধবার

সরকারি বাংলোয় ১২ উপদেষ্টা, নিজ বাড়িতে থাকছেন ৫ জন

গেজেট ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস থাকছেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। সরকারের ২১ জন উপদেষ্টার মধ্যে এ পর্যন্ত মন্ত্রিপাড়ার সরকারি বাংলোতে উঠেছেন ১২ জন। বাকি ৯ জনের মধ্যে তিনজন বাংলো বরাদ্দ পেলেও এখনো উঠতে পারেননি। তাঁরা হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ, সাখাওয়াত হোসেন ও ফরিদা আখতার।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ তাঁদের নিজ বাড়িতেই থাকছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি আবাসন পরিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারের সদস্যসংখ্যা ছিল ২১।

রবিবার নতুন তিনজন উপদেষ্টা শপথ নেন। তাঁরা হলেন শিল্পগোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। এখন নতুন এই তিনজন উপদেষ্টা মিলিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ২৪।

এ ছাড়া উপদেষ্টাদের মধ্যে যাঁরা সরকারি বাংলো/বাসা বরাদ্দ চেয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হয়েছে। অনেকে এর মধ্যে সরকারি বাংলো বা মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছেন। বরাদ্দ পাওয়া দু-তিনটি বাসার মেরামত ও সাজসজ্জার কাজ চলছে। সংস্কার শেষে সেখানে উপদেষ্টারা উঠবেন। তবে সাত-আটজন উপদেষ্টা সরকারি বাংলো বরাদ্দ চাননি। তাঁরা নিজ বাড়িতেই থাকবেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মন্ত্রিপাড়ার মোট ২০টি সরকারি বাংলো নতুন উপদেষ্টাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল আবাসন পরিদপ্তরের। এসব বাংলোয় ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের মন্ত্রীরা থাকতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জাতীয় সংসদও বিলুপ্ত হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও ভিআইপিরাও সবাই বাসভবন ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর নতুন উপদেষ্টাদের জন্য বাংলো সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করার পর নতুন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেয় আবাসন পরিদপ্তর।

আবাসন পরিদপ্তর সূত্র জানায়, এরই মধ্যে হেয়ার রোডের ৩৫ নম্বর বাংলোতে উঠেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। হেয়ার রোডের ছায়াবীথি-৩-এ উঠেছেন সদ্য পদোন্নতি পাওয়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ছায়াবীথি-৪-এ উঠেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, ছায়াবীথি-৫-এ উঠেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং ছায়াবীথি-৬-এ উঠেছেন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পাশাপাশি বেইলি রোডের ২১ নম্বর বাংলোতে উঠেছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বেইলি রোডের ৩৩ নম্বর বাংলোতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা থাকেন বলে তাঁর দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, মিন্টো রোডের ৪ নম্বর বাংলোয় থাকছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ৫ নম্বর বাংলোয় থাকেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ৭ নম্বর বাংলোয় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফের নামে বরাদ্দ হলেও তা মেরামতের কাজ চলছে। তিনি এখনো তাঁর ধানমণ্ডির বাসায় থাকছেন। মিন্টো রোডের ৩৩ নম্বর বাংলো বরাদ্দ হয়েছে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের নামে। কিন্তু তিনি এখনো  বুঝে নেননি। তবে এ রোডের ৩৫ নম্বর বাংলোটিতে এরই মধ্যে বসবাস শুরু করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

এ ছাড়া মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টের তৃতীয় তলায় (পশ্চিম) বসবাস করছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক। একই ভবনের চতুর্থ তলা (পশ্চিম) বরাদ্দ হয়েছে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের নামে। তবে তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্টে এখনো ওঠেননি। এ ছাড়া গুলশানের একটি সরকারি বাংলোতে উঠেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি সেখানে অফিস কাম আবাসিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করছেন।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য রাজধানীর ইস্কাটনের ৩৭ বিআইডিসি হাউস বরাদ্দ দিলেও তিনি তা নিতে রাজি হননি। বর্তমানে তিনি তাঁর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্টেই বসবাস করছেন। হেয়ার রোডের ২০ নম্বর বাংলোতে সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি থাকতেন। সেই বাড়িটি সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদকে বরাদ্দ দেওয়া হলেও তিনি সেখানে উঠতে রাজি হননি। বর্তমানে তিনি তাঁর বারিধারার অ্যাপার্টমেন্টেই থাকেন। এ ছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বারিধারায় নিজ বাসায়, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তাঁর সেন্ট্রাল রোডের নিজ বাসায় থাকছেন।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!