খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৭ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

সরকারি ঘরের দাবিতে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে ৪৩ পরিবার

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

ঘর-বাড়ি, সহায়-সম্বলহীন ৪৩ পরিবার। দীর্ঘ ৫ যুগ আগে কাজের সন্ধানে ভিটে-মাটি ছেড়ে চলে আসে ডুমুরিয়া এলাকায়। তখন থেকে ঝুপড়ি ঘর বেধে বসবাস শুরু করে ডুমুরিয়ার ভদ্রা তীরে ওয়াপদার রাস্তার পাশে। এসব ছিন্নমূল মানুষেরা সরকারি ঘর পাওয়ার দাবিতে আজ বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেছে।

অবস্থানরত ছিন্নমূল মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৫ যুগ আগে খুলনার কয়রা পাইকগাছা-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘর-বাড়িহারা বহু অভাবী মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে ভদ্রানদীর উত্তর পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তার স্লোপে ঝুপড়ি ঘর বেধে কোনো রকমে বসবাস শুরু করে। সময়ের বিবর্তনে তারা ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের ৮ ওয়ার্ডে ভোটারও হয়েছে। এইসব ছিন্নমূল মানুষরা কেউ রিক্স-ভ্যান চালান, আবার কেউ দিন মজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করে।

বর্তমান সরকার ছিন্নমূল মানুষদের ঘর তৈরি করে দেওয়া শুরু করলে এখানকার ৪৩টি পরিবারের পক্ষ থেকে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ঘর পাওয়ার দাবিতে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের বিষয়ে একাধিকবার দেন-দরবারও করেছে। কিন্তু আজাবধি তাদের বিষয়টিতে কোনো আশার আলো দেখা যায়নি।

তার প্রেক্ষিতে আজ বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তারা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করতে থাকে। শেষে বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবস্থানকারীদের আশ্বাস্ত করেন।

এ প্রসঙ্গে অবস্থানকারী রুমা বেগম(৪০) বলেন, আমাগে দাবি, আগে ঘর দেয়া লাগবে না, শুধু স্যার( উপজেলা নির্বাহী অফিসার) যায়ে আমাগে পলিথিনির ঘর বা ছাবড়া ঘরগুলোর অবস্থা একটু দেখে আসুক।

আইয়ুব আলী শেখ(৫৫) বলেন, আমরা নদীর ভাঙ্গনে ও অভাবে পড়ে কয়রা-পাইকগাছাত্তে অনেক বছর আগে বাপ-দাদার ভিটে ছাড়ে এই ডুমুরিয়ায় আসে ওয়াবদার স্লোপে ঝুপড়ি ঘর বান্দে কোনো রকমে জীবন-যাপন কত্তিছি। এখন ওয়াবদা অলারাও আমাগে উঠোয়ে দেচ্ছে। তাই আমরা নিরুপায় হয়ে সরকারি ঘরের জন্নি এই লকডাউনির মদ্দিও স্যারের কাছে আইছি।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!