সরকারি কর্মকর্তাদের সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ বদ্ধ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ পরিপত্র জারি করা হয়। এর আগে গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাতে এ বিষয়ে বলেছিলেন, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর আজ পরিপত্র জারি করা হলো।
আজ অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা-৬ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার এক্সপোজার ভিজিট, স্ট্যাডি ট্যুর, এপিএ ও ইনোভেশন ভ্রমণ এবং ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।’
এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের এ পরিপত্রে অনুলিপি মন্ত্রপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব, বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি), সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ ও কম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, এখন থেকে বিদেশ সফর আর নয়। বিশেষ কারণে কর্মকর্তাদের বিদেশ যেতে হলেই যাবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব উন্নয়নপ্রকল্প ছয় মাস পর করলেও আমাদের সমস্যা বা ক্ষতি হবে না, সামষ্টিক অর্থনীতি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না, সেগুলো পিছিয়ে দেওয়া হবে। তবে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাতিল হবে না।’
বিলাসপণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সময় যখন কঠিন, তখন সিদ্ধান্তও নিতে হয় কঠিন। সারা বিশ্বের পরিস্থিতির সঙ্গে একীভূত হয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে আমরা বিলাসপণ্য দুই মাস পর কিনতে পারি। তিন-ছয় মাস পরও কিনতে পারি। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিলাসী পণ্য কিছুদিনের জন্য নয়। তবে নিত্যপণ্যে কোনো হাত দেব না।’