বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা এই সরকারের পতন চাই। সংসদ বাতিল করতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটা নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে। আর আগামী দিনের আন্দোলন সফল করার জন্য এই রোডমার্চ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শনিবার সকালে বরিশাল বেলস পার্কে রোডমার্চ পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বেলা সোয়া ১১টায় এই রোডমার্চ শুরু হয়। সরকার পতনের একদফা দাবিতে বরিশাল বিভাগে এই ‘রোডমার্চ’ কর্মসূচি আয়োজন করে বিএনপি। রোডমার্চটি ঝালকাঠি, পিরোজপুর হয়ে পটুয়াখালীতে গিয়ে শেষ হবে। আজ ৬০ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এ কর্মসূচি পালন করবেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে ঝালকাঠিতে দুটি পথসভা হওয়ার কথা রয়েছে।
‘সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ একদফা দাবিতে’ এই রোডমার্চ আয়োজন করেছে দলটি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের মানুষ চরম দু:সময় অতিক্রম করছে। একটা ডিমের দাম ১৬ টাকা! সমস্ত জিনিসের দাম বেশি। গরীব মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নির্দিষ্ট উপার্জনের মানুষ হালাল উপার্জন করে জীবীকা নির্বাহ করতে পারে না। এসব অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশু ও নারীদের পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়।
সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদেরকে শাস্তি দেয়া হয়। এই অবস্থা থেকে দেশ এবং দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে এবং মুক্ত করতে হবে।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, এই রোডমার্চের মাধ্যমে আমরা জনগণকে একত্রিত করে বর্তমান সরকারকে দেখিয়ে দেবো দেশের জনগণ তাদেরকে আর চায় না। তাই প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। আর এই রোডমার্চের মাধ্যমে আমরা তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলবো।
কর্মসূচি উপলক্ষ্যে নেতাকর্মীরা বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ছাড়াও কয়েক শত মোটরসাইকেল নিয়ে যোগ দিয়েছেন। মাথায় ব্যান্ড ও ক্যাপ পড়ে, রং-বেরংয়ের গেঞ্জি গায়ে, হাতে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা নিয়ে হাজারো নেতাকর্মী এসময়ে সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা পৌনে ১২টায় দিকে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিগত নির্বাচনে দলের এমপি প্রার্থী, মনোনয়ন প্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতার উপচে পড়া ভিড় আর উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে রোডমার্চ বরিশাল থেকে শুরু হয়।
রোডমার্চপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রবিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুখ। এতে আরও উপস্থিত আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, হারুন অর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম