ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহানের নামে। ইডির দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন অভিনেত্রী। কিন্তু সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি নায়িকা। সম্প্রতি শহরের একটি অনুষ্ঠানে যশ দাশগুপ্তর হাত ধরে দেখা যায় নুসরতকে। সেখানে এই প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে প্রথমে এড়িয়ে গেলেও অবশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন অভিনেত্রী। নুসরতকে প্রশ্ন করা হয়, যদি ইডি ডেকে পাঠায়, তা হলে কী করবেন তিনি। উত্তরে নুসরত জোর দিয়ে বলেন, ‘‘এর জন্য ইডি আমায় ডাকবে না।”
শুরুটা অবশ্য যশই করেন। তিনি বলেন, “কে কী বলছে যায় আসে না। আদালত যেটা বলবে সেটাই শেষ পর্যন্ত মানতে হবে। আমাদের আদালত কী জবাব দেয়, সেটার জন্যই অপেক্ষা করা উচিত। তার পর না হয় আমরা উত্তর দেব।” পরে উত্তর দিয়েছেন নুসরতও। অভিনেত্রী তথা নেত্রী বলেন, “আমার যা বলার ছিল তা বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছি। স্পষ্ট ভাষায় বলেছি।’’
প্রতারণার অভিযোগ ওঠার দেড় দিন পর সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব তৃণমূলের লোকসভা সাংসদের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন সোমবার সন্ধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে তাতে সুর মিলিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এর পরই বুধবার দুপুরে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন নুসরত। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে নুসরত জানান, তিনি ওই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে নিজের ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। সেই ঋণ সুদ-সহ ফিরিয়েও দিয়েছেন। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত নন।
এ দিন তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের কণ্ঠেও নুসরতের পাশে থাকার সুর। তাঁর মতে, আদালত কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগেই সংবাদমাধ্যমে কিছু লিখে দেওয়া কাম্য নয়। তাঁর কথায়, “আমি নিজের ব্যক্তিগত জায়গা থেকে যা বুঝেছি মিডিয়া ট্রায়াল একটি বিশাল বড় ব্যাপার। আদালতের তরফে কিছু জানানোর আগেই মিডিয়াতে লেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণের আগে দোষী বলা হচ্ছে। সেটা তো ঠিক নয়। আমার সঙ্গে নুসরতের কথা হয়নি। তবে এটা ঠিক, ভিউজ় বা টিআরপির জন্য অন্য কারও ক্ষতি হচ্ছে সেটা ভাবা উচিত।”
খুলনা গেজেট/এনএম