বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখন বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিদায় দেখতে চায়। সময় থাকতে মানে মানে কেটে পড়ুন। না হলে এ দেশের জনগণ আপনাদের বিদায় করে দেবে।’
গুম, খুন ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপি’র গণসমাবেশে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা জোর করে দুইবার নির্বাচন করেছে। ২০১৪ আর ২০১৮। ২০১৪ তে কেউ ভোট দিতে যায়নি। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। আর ২০১৮ তে আগের রাতেই নাকি ভোট শেষ। উনি নাকি আবার নির্বাচন করবেন। গত পরশু যাশোরে সভা করেছেন। সভায় তিনি ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ আসলে নাকি জনগণ শান্তি পায়। আর বলেছেন- আবার নৌকায় ভোট দেন। আব্বাস উদ্দিনের একটা গান আছে- ‘আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না।’দেশের সব মানুষ এখন এই গান গাইতে শুরু করেছে। ভুলে যান, ওই নৌকার কথা ভুলে যান। এখন বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের বিদায় দেখতে চায়। সময় থাকতে মানে মানে কেটে পড়ুন। তা না হলে এদেশের মানুষ আপনাদের বিদায় করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছরে এই আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের যত অর্জন ছিল, যত স্বপ্ন ছিল সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করে দিয়েছে, নষ্ট করে দিয়েছে। যেদিকে তাকাবেন খালি চুরি চুরি আর চুরি। ‘আওয়ামী লীগ সরকারের চুরির কথা বলতে গেলে দিনরাত পার হয়ে যাবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার তারা পাচার করে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। তারা আমাদেরকে ভাতে মারছে, পানিতে মারছে, কর্মসংস্থানে মারছে।’বলেন ফখরুল।
আগামী নির্বাচনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, ‘আরও দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বাধ্য করতে হবে।’
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা প্রমুখ।