গত ১০ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। দলের দুটি শাখাই গঠনতন্ত্র মেনে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেছেন। কেন্দ্রের প্রতিটি কর্মসূচিই বর্ণাঢ্য ও জাকজমকভাবে পালন হচ্ছে।
তবে নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হচ্ছে, সম্মেলনের তিন বছর পর খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের ঐক্য আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিভেদ বেড়েছে জেলা আওয়ামী লীগে। যদিও প্রকাশ্যে কেউ এনিয়ে কথা বলছেন না। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ঘিরে তৈরি হওয়া বলয় দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর একই মঞ্চে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় এমডিএ বাবুল রানাকে। একই সঙ্গে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদকে জেলা সভাপতি ও অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছিল।
এই কমিটি ঘোষণার ঠিক ১৩ মাস পর ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি দুটি শাখারই পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এম ডি বাবুল রানা শুরু থেকেই মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের অনুগত ছিলেন। যার কারণে দলের সকল সিদ্ধান্ত তারা দুই জন ঐক্যমতের ভিত্তিতে গ্রহণ করেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন থেকে শুরু করে গত ৩ বছরে সকল সিদ্ধান্তই তারা একসঙ্গে নিয়েছেন।
কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলো জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়েই বিরোধ শুরু হয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে। এক পর্যায়ে দুই নেতা দুটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেন। কেন্দ্র থেকে বিষয়টি সমন্বয়ের জন্য বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদককে দায়িত্ব দেন। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর সেখানে শেখ হারুনের অনুসারীদের আধিপত্য দেখা যায়। এনিয়ে বিভিন্ন ফোরামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক।
যদিও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী বলেন, দলের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। জেলা সভাপতি প্রবীণ নেতা, তাকে সম্মান জানিয়ে একসঙ্গে কাজ করছি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ অনেক আগে থেকেই ঐক্যবদ্ধ আছে। যার কারণে দেশের যে কোনো ইউনিট থেকে মহানগর আওয়ামী লীগ শক্তিশালী।