সম্মিলিত ১১ টি শিক্ষাবোর্ডের হিসাবে পাসের হারের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডে এবার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৬১৩ জন।
অন্যদিকে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে এবার সবচেয়ে পিছিয়ে ময়মনসিংহ বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার মাত্র ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮২৬ জন।
কারিগরি বোর্ডে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৮২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ পাস করেছে; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৯২২ জন।
এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় পাস করেছে ৯৩.৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী। গত বছর যা ছিল ৯০.৭৫ শতাংশ। সে হিসাবে এ বছর আলিম পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে ২.৬৫ শতাংশ।
আলিম পরীক্ষায় মোট ৮৫ হাজার ৫৫৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৯ হাজার ৯০৯ জন। ৪৬ হাজার ৪৩৩ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৪২ হাজার ৭৯৩ জন। পাসের হার ৯২. ১৬। অন্যদিকে ৩৯ হাজার ১২৫ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৩৭ হাজার ১১৬ জন। পাসের হার ৯৪.৮৭। অর্থাৎ আলিমে পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে।
মাদ্রাসা ও কারিগরি বাদে বাকি ৯ সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সিলেট; আর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের নাম আগে রয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বোর্ড চেয়ারম্যানরা নিজেদের অফিসে বসে ফল প্রকাশ করেন। ঢাকায় সমন্বিত ফল প্রকাশ করেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৮৩ হাজার ১৬৫ শিক্ষার্থী। তাদর মধ্যে ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ পাস করেছে। উত্তীর্ণ ৭১ হাজার ১২ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৯৮ জন।
অন্যদিকে ঢাকা বোর্ডে উত্তীর্ণ ২ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫৪৮ জন। ঢাকা বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ। পাসের হারে পিছিয়ে আছে ঢাকা।
খুলনা গেজেট/এএজে