ময়মনসিংহের ভালুকায় সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে আহত নারী শ্রমিক শামছুন্নাহার মারা গেছেন। রোববার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউর রহমান জানান, আহত নারীর মাথায় আঘাত প্রাপ্ত ছিলো। আইসিইউতে সকাল সাড়ে ১০ টায় মারা যায়।
পুলিশ জানায়, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জের জয়কা এলাকায় পাঠানো হবে। দাফন-কাফনের জন্য পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা নগদ দেয়া হয়েছে স্বজনদের।
জানা গেছে, গাজিপুরের মাওনায় গার্মেন্টস থেকে কাজ শেষে শুক্রবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টার বাসে ভালুকা ফিরছিলেন দুই সন্তানের জননী শামসুন্নাহার (৪৫)। ভালুকার সীডস্টোর এলাকায় বাসের সব যাত্রী নেমে গেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মায়ের মসজিদ এলাকায় তাকে ধর্ষণ চেষ্টা চালান বাসের চালকসহ তিন সহযোগী। কিছুক্ষণ চলে ধস্তাধস্তি। এ সময় নিজেকে রক্ষা করতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন শামছুন্নাহার। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই মমেক হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় বাসটি জব্দসহ চালক, হেলপার ও বাসের সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচতে লাফিয়ে আহত নারী মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড