চাকরি জীবনের ২৪ বছরে অঢেল সম্পদ গড়েছেন আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে নামে বেনামে রয়েছে একাধিক বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট। অর্থ বিনিয়োগ করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়। বিদেশেও একাধিক বাড়ি আছে বলে অভিযোগ। মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এই ওসি’র সম্পদের বিষয়টি এখন সবার মুখে মুখে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী চুমকি কারনের নামে ১৫ বছর আগে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় দৃষ্টিনন্দন ৬ তলা বাড়ি নির্মাণ করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। নগরীর মুরাদপুরেও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি রয়েছে ওসি প্রদীপের।
অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিক রতন কান্তি দেবাষিশ জানান, তার বোনের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে তিনি প্রায় ১০ গণ্ডা (জমির স্থানীয় পরিমাপ) জায়গা দখল করেন।
১৯৯৬ সালে এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন প্রদীপ। পরে পদোন্নতি পেয়ে হন ওসি। ঘুরেফিরে পোস্টিং নিতেন শুধু সিএমপি আর কক্সবাজার জেলায়। এরমধ্যে ঘুষ দাবি সহ নানা অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত, প্রত্যাহার ও বদলি হয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু সব সামলে ঠিকই বাগিয়ে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ থানার ওসি পদ। মাত্র ২৪ বছরে নামে বেনামে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। অভিযোগ, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাশাপাশি দেশের বাইরেও একাধিক বাড়ি আছে তার।
রতন কান্তি দেবাশিষ জানান, আগরতলার গোহাটিতেও তার বাড়ি রয়েছে। এছাড়াও আমেরিকাতেও তার বাড়ি আছে বলে শোনা যায়।
আইনজীবী ও অপরাধ বিশ্লেষক আখতার কাবির চৌধুরী বলেন, তিনি যে পরিমাণ বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক তা বৈধভাবে হওয়ার কথা না।
একজন ওসির এতো বিত্ত বৈভব নিয়ে বিস্মিত বিশ্লেষকরা। অনিয়ম দুর্নীতি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ তাদের।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম জানান, কোথায় কোথায় এরকম ঘটনা ঘটতে পারে তা তালিকা তৈরি করে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার এখন সূবর্ণ সময়।
এরই মধ্যে দুদকের নোটিশ পেয়ে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের নামে একাধিক বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাটসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমান মিলেছে বলেও জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/এআইএন