জমি লিখে না দেওয়ায় ছুরি দিয়ে বাবার হাতের কব্জি কেটে ফেলা সেই ছেলে হানিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের রুবেল হোসেনের বাড়ি থেকে র্যাব-৬ এর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৬ এর (ঝিনাইদহ অঞ্চল) সিও (কমান্ডিং অফিসার) মেজর শরীফ।
সোমবার বেলা ১টার দিকে র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর শরীফ বলেন, জমি লিখে না দেওয়ায় গত ২৩ নভেম্বর মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুরের উথলি গ্রামের শহিদুল ইসলাম সাধুর হাতের কব্জি কেটে ফেলে তারই ছোট ছেলে হানিফ মিয়া। এ ঘটনায় শহিদুলের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা ওই দিন রাতেই মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত হানিফ মিয়াকে ধরতে অভিযান চলছিল। অবশেষে আজ সকালে যশোরের ঝিকরগাছার বালিয়া গ্রামের রুবেল হোসেনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে পৃথক থাকতেন হানিফ মিয়া। বাবা শহীদুল থাকতেন বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে। সংসার আলাদা হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই বাবার সম্পত্তি থেকে কিছুু ফসলি জমি লিখে দেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ দিতেন হানিফ। কিন্তু আচরণ ভালো না হওয়ায় বাবা তাকে কোনো সম্পত্তি লিখে দেননি। এ কারণে বাবার ওপর খুব্ধ ছিলেন হানিফ। এনিয়ে বাবা ছেলের মধ্যে মাঝে মাঝে বচসাও হতো। সম্পত্তি না পেয়ে অবশেষে হানিফ গত ২৩ নভেম্বর সকালে বাড়ির পাশের একটি চায়ের দোকানে বাবার উপর হামলা চালিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে বাবার হাতের কব্জি কেটে ফেলে।
গুরুতর জখম অবস্থায় বাবা শহীদুল হককে (৭০) প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা খারাপ হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শহিদুল হকের নাতনি সোনিয়া খাতুন জানান , তার দাদার অবস্থা ভালো না। আজ দুপুরে তাকে রেফার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেছে।
র্যাব-৬ এর সিও মেজর শরীফ বলেন, আটক হানিফ মিয়াকে মাগুরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই