খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে আগামী ১৪ অক্টোবর শুক্রবার খুলনায় আসছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদু ও নিতাই রায় চৌধুরী। ওই দিন সকালে খুলনা প্রেস ক্লাবে বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে গণসমাবেশের প্রস্তুতির বিষয়ে বৈঠক করবেন তারা। কোনো বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় হাইকমান্ডের তিন নেতার একযোগে খুলনা সফর এর আগে কখনও হয়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় গণ সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় নেতারা সরাসরি মনিটর্রিং করছেন এই কার্যক্রম। সার্বিক করণীয় নিয়ে গত ৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভাগীয় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণসমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতারা ১০টি জেলা সফর করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এর ৬ দিনের মাথায় সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনা করতে আবার খুলনা সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোতে বিপুল উপস্থিতি ঘটিয়ে সরকারকে একটি বার্তা দিতে চাইছে বিএনপি। পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়াতেও বিভাগগুলোতে বড় শোডাউনের চিন্তা ভাবনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং অঙ্গ সংগঠনগুলোর প্রধানরা প্রতিটি সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, গণসমাবেশ সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতি কার্যক্রম তদারকি করতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদু ও নিতাই রায় চৌধুরী ১৪ অক্টোবর খুলনা আছেন। খুলনা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় খুলনা মহানগরসহ ১০টি জেলার আহবায়ক, সদস্য সচিব ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু উপস্থিত থাকবেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা জানান, ২২ অক্টোবরের গণসমাবেশ হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। প্রাথমিকভাবে কেন্দ্র থেকে লক্ষাধিক মানুষ জমায়েতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশনার আলোকে বিএনপি ও প্রতিটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং প্রতিটি ইউনিট পর্যায়ে সভা সমাবেশ, প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এদিকে বিভাগীয় এই সমাবেশের জন্য বিএনপির পছন্দ তালিকায় প্রথমে এখন শহীদ হাদিস পার্ক। দলের সূত্র জানিয়েছে, ইতিপূর্বে সমাবেশগুলো দলীয় কার্যালয়ের সামনে হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট এড়াতে এবং লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের উপযুক্ত স্থান হাদিস পার্ক।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ২২ অক্টোবর হাদিস পার্কে বিভাগীয় সমাবেশের বিষয়টি অবহিত করে কেএমপি কমিশনারকে সোমবার দুপুরে দাপ্তরিক পত্র দিয়েছেন। নগর বিএনপি নেতা পত্রে উল্লেখ করেন, সমাবেশে ১ লাখ উপস্থিতির টার্গেট। এছাড়া অনুমতির জন্য কেসিসি মেয়রকেও পত্র দেয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
তিনি এ প্রতিবেদকে জানান, আগামী জবাবদিহিমূলক সরকার নির্বাচিত করার প্রাক্কালে জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট এর পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষে মূলত এ সমাবেশের আয়োজন। এ ক্ষেত্রে বড় দাবি, দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগ।
